সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদল দামাল কন্যা। কারও বারণ শোনেননি। কোনও ভয়ে কাবু হয়ে পড়েননি। পথের ধুলো উড়িয়ে সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। উঠে গিয়েছেন কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে। পৌঁছেছেন দেশের সেই সর্বোচ্চ সীমানায়, যার পরে আর কোনও গাড়ি যাওয়ার ক্ষমতা নেই। সেখানেই বাইক নিয়ে পৌঁছে গেলেন দেশের পঞ্চাশ জন দামাল কন্যা। স্বাধীনতা দিবসে দুর্গম খড়দুং লা পার্বত্য এলাকায় ওড়ালেন জাতীয় পতাকা।
[ভারতীয় সেনাকর্মীদের সম্মানে অভিনব উদ্যোগ এয়ার ইন্ডিয়ার]
কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউবা নিছক পড়ুয়া– এমনই জনা পঞ্চাশেক দামাল কন্যাকে নিয়ে গঠিত ‘বাইকিং ক্যুইনস’-এর এই দল। নারী মানেই ঘরোয়া, এই ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ছিল প্যাশন। দেশের জন্য এমন কিছু করার ইচ্ছে, যাতে স্বাধীনতা দিবসের মানেটাই সমাজের কাছে পালটে দেওয়া যায়। সেই আশা বুকে নিয়েই ১৯ জুলাই গুজরাটের সুরাট থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই মহিলারা। টানা ৪৫ দিনের যাত্রাপথে পেরিয়েছেন ১৫ রাজ্যের সীমানা। সবশেষে খড়দুং লা। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮,৩৮০ ফুট উপরে অবস্থিত। আর যা কি না দেশের সর্বোচ্চ স্থান, যেখানে গাড়ি পৌঁছাতে পারে।
[উলটো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেও হাসিমুখে ছবি বিজেপি সাংসদের]
ঠিক ১৫ আগস্টের দিনই খড়দুং লা-য় উপস্থিত হন মহিলা বাইকারদের দল। তাঁদের স্বাগত জানান তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। মহিলা বাইকারদের দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। আজকের প্রজন্মের কাছে বিশেষ এই দিনে একটা অসামান্য উদাহরণ তুলে ধরার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান। প্যাশন আর সামাজিকতার এই উদাহরণই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বলে জানান ‘বাইকিং ক্যুইনস’দের নেত্রী ড. সারিকা মেহতা। ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন দেশের এই দামাল কন্যারা। এরপর আবার এমন যাত্রায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে প্রত্যেকের।
[যন্ত্রণার স্বাধীনতা দিবস, বিচারের আশায় দিন গুনছে অসমের ১৩টি পরিবার]