সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সম্পদের ৭৩ শতাংশই কুক্ষিগত হয়ে আছে মোটে ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তির হাতে। ভারতে অর্থনৈতিক বৈষম্যের মানচিত্রটি যে ঠিক কীরকম, তাই-ই উঠে এল ‘অকজাম ইন্ডিয়া’ নামক একটি সংস্থার সমীক্ষায়। জানা যাচ্ছে, ১ শতাংশ মানুষ যে পরিমাণ সম্পদের অধিকারী তা ভারতের মোট বাজেট বরাদ্দের থেকেও বেশি।
[ বড় সাফল্য দিল্লি পুলিশের, গ্রেপ্তার ভারতের ‘বিন লাদেন’ ]
দেশ এগোচ্ছে। বাড়ছে জিডিপি। অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চিনকেও ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ভারতের। নানা আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় সে সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সমৃদ্ধির পিছনের অঙ্কটি যে একেবারেই আলাদা তা এই সমীক্ষায় স্পষ্ট। সম্পদ দেশে আছে ঠিকই। কিন্তু তা কুক্ষিগত হয়ে আছে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে। দেশের মোট সম্পদ উৎপাদনের প্রায় ৭৩ শতাংশই বন্দি হয়ে আছে ১ শতাংশ ধনাঢ্য ব্যক্তির হাতে। অন্যদিকে দেশের প্রায় ৬৭ কোটি মানুষের সম্পদবৃদ্ধি মেরেকেটে ১ শতাংশ। গতবছরের সমীক্ষাও একই ইঙ্গিত দিয়েছিল। দেশের মোট সম্পদের ৫৮ শতাংশই আছে ওই ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তির হাতে। এবছর যে তা আরও বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের গোলাবর্ষণ পাক সেনার, নিহত ১ ভারতীয় ]
‘অকজাম ইন্ডিয়া’র সমীক্ষা অনুযায়ী, এ বছর এই সম্পদ বৃদ্ধির অঙ্ক প্রায় ২০.৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা কেন্দ্রীয় বাজেট বরাদ্দের থেকেও বেশি। এই যখন একদিকের ছবি, তখন বৈষম্যের চিত্রটি কীরকম। সমীক্ষা জানাচ্ছে, একজন সাধারণ কর্মচারী এবং একটি বড় সংস্থার শীর্ষপদে কর্মরত ব্যক্তির উপার্জনের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। পোশাক সংস্থার কোনও একজিকিউটিভ পদের ব্যক্তি বছরে যা উপার্জন করেন, একজন সাধারণ কর্মচারীর সেই টাকা উপার্জন করতে সময় লাগবে পারবে ৯৪১ বছর। এতটাই প্রখর বৈষম্যের লেখচিত্র। সংস্থার সিইও জানাচ্ছেন, এই ফলাফল বেশ ভীতিপ্রদ। এর অর্থ দেশ যে অর্থনৈতিক দিক থেকে এগোচ্ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তা কেন্দ্রীভূত হচ্ছে নির্দিষ্ট একশ্রেণির মানুষের হাতে। ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুফল সাধারণ নাগরিকের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এর ফলে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে ভারত আত্মপ্রকাশ করলেও, তাতে দেশের মানুষ কতটা উন্নত হবেন সে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
[ ‘শুধু দেশের মাটি নয়, বিদেশেও ভারত শত্রু নিধনে সক্ষম’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.