Advertisement
Advertisement

Breaking News

নার্স

মাস্ক-পিপিই চাওয়ার ‘শাস্তি’, দিল্লিতে চাকরি খোয়ালেন ৮৪ জন নার্স!

আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই হোয়াটস্যাপে বরখাস্ত করার চিঠি পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

84 nurses sacked by hospital, demanding PPE kits and drinking water

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 15, 2020 8:10 pm
  • Updated:July 15, 2020 8:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালের নাম হামদার্দ। অথচ সমব্যথী হওয়া তো দূর, করোনা কালেও নার্সদের সঙ্গে ‘অভব্য আচরণ’ করতে ছাড়ল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চুক্তি শেষ হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে অন্তত ৮৪জন নার্সকে ছেঁটে ফেলল দিল্লির এই হাসপাতাল। যদিও নার্সদের অভিযোগ, পিপিই (PPE) কিট, মাস্ক আর খাবার জলের দাবি জানানোর জন্যই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের।

মহামারীর মধ্যে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাই। তাঁদের প্রতি মানবিক হতে সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে বারবার। কিন্তু এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই অভিযোগের মূলে। বেশিরভাগ নার্সই জানিয়েছেন, আগাম কোনও নোটিস ছাড়া ডিপার্টমেন্টের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই বরখাস্ত করার চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন, তাঁদের থেকে জোর করে পরীক্ষার টাকাও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিনের সহযোগী’, India-EU সামিটে বললেন মোদি]

এক সর্বভারতীয় ইংরাজি সংবাদমাধ্যমকে এক নার্স বলেন, “করোনা পজিটিভ হওয়ায় আপাতত আমি হোম আইসোলেশনে রয়েছি। আমিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চাকরি যাওয়ার চিঠি পাই। প্রতিদিন ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করার পর এমন আচরণ সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের ছেঁটে ফেলতে হলে চুক্তির মেয়াদ যখন শেষ হল, তখনই বলতে পারত। নিজেরাই আমাদের কাজ করতে বলেছিল। আর এখন আমরা মাস্ক-পিপিই চেয়েছি বলে এই পরিণতি হল।”

Advertisement

মারণ ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অন্যদের সেবা করছেন নার্সরা। কিন্তু হাসপাতালের তরফে পর্যাপ্ত পিপিই কিট বা মাস্ক দেওয়া হচ্ছে না। যা মিলছে, তার মানও অত্যন্ত নিম্ন। N95 মাস্কও পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালেই উঠেছে। এবার তা চাওয়ায় চাকরিই খোয়াতে হল নার্সদের। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের বরখাস্ত করা হয়নি। চুক্তি শেষ হয়েছে। তাঁরা চাইলে ফের ইন্টারভিউ দিতে পারেন। গোটা ঘটনার কথা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জানিয়েছে দিল্লি-এনসিআর নার্স অ্যাসোসিয়েশন।

[আরও পড়ুন: ফোনের ওপারের ব্যক্তি জীবন্ত হয়ে উঠবে চোখের সামনে, অত্যাধুনিক ‘Jio Glass’ আনল রিলায়েন্স]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ