Advertisement
Advertisement
farm laws Farmers Protest

‘নতুন নিয়মে শৃঙ্খলমুক্ত হবে বাজার’, কৃষি আইনের সমর্থনে খোলা চিঠি ৮৬৬ জন শিক্ষাবিদের

৪ জানুয়ারির বৈঠকে সুফল না পেলে আরও বড় আন্দলনের হুঁশিয়ারি কৃষকদের।

866 academics sign open letter to back farm laws, Farmers adamant |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 2, 2021 11:15 am
  • Updated:January 2, 2021 11:51 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ দফায় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্র। সরকারের শীর্ষ আমলা, তাবড় মন্ত্রী, কারও বোঝানোতেই কাজ হয়নি। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাই এবার কৃষকদের বোঝাতে আসরে নামলেন তথাকথিত শিক্ষাবিদরা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ (JNU), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (BHU) মতো প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৬৬ জন অধ্যাপক কৃষকদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। যাতে কেন্দ্রের আনা নতুন এই আইনগুলির (Farm Laws) ‘সুফল’ সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

ওই চিঠিতে শিক্ষাবিদরা বলছেন,”আমরা সরকারের পাশেও আছি। কৃষকদের পাশেও আছি। কৃষকদের এই কঠিন লড়াইকে স্যালুট জানাই। কিন্তু কেন্দ্র সরকার বারবার কৃষকদের আশ্বস্ত করেছে যে, এই কৃষি আইনগুলি আসার পরও ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) বাতিল করা হবে না। বরং, কৃষি বাণিজ্যকে অযাচিত নিয়মের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা যাবে। মান্ডির বাইরেও ফসল বিক্রির জন্য বিকল্প জায়গা পাবেন কৃষকরা। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের কাছে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বেশি মূল্যে নিজেদের ফসল বিক্রির সুযোগ থাকবে।” বস্তুত, মোদি (Narendra Modi) সরকারের আনা এই তিনটি কৃষি আইনকে খোলাখুলিই সমর্থন করা হয়েছে ওই চিঠিতে। যা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে চাপের মধ্যে খানিকটা হলেও স্বস্তি দেবে কেন্দ্রকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুরা কখনও দেশদ্রোহী হতে পারে না’, সদর্পে ঘোষণা মোহন ভাগবতের, পালটা দিলেন ওয়েইসি]

যদিও, শিক্ষাবিদদের এই চিঠি মন গলাতে পারেনি কৃষকদের। আইন বাতিলের দাবিতে তাঁরা এখনও অনড়। সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত (Farmers Protest) কৃষক সংগঠনগুলির নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৪ জানুয়ারির বৈঠকে যদি সরকার সদর্থক ভূমিকা নিয়ে তাঁদের দাবি না মানে, তাহলে আগামী দিনে আরও তীব্র আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। কৃষক নেতাদের হুঁশিয়ারি, দাবি না মানলে এমন পদক্ষেপ করা হবে, যাতে কেন্দ্র আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। মোট কথা, ৪ জানুয়ারির বৈঠককেই আলোচনার ডেডলাইন হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন কৃষকরা। যদিও, সেদিনই যে এই বিবাদ মিটিয়ে ফেলা যাবে, তেমন আশা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও দেখাতে পারছেন না।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ