সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তব্যপালন করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল দিল্লির (Delhi) এক পুলিশ কর্মীর। হাতেনাতে ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন তিনি। এর পরে ওই কনস্টেবলের উপর ভয়ংকর হামলা চালায় ছিনতাইকারী। ছুরি দিয়ে নির্মম ভাবে কোপায় সে পুলিশ কর্মীকে। প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা গিয়েছে, পথচারীদের সামনে কনস্টেবল শম্ভু দয়ালকে নির্মম ভাবে কোপানো হচ্ছে। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন না। পরে অবশ্য জনতাই ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় আশঙ্কাজনক কনস্টেবলকে। দিন চারেক পর মৃত্যু হয় তাঁর।
দিল্লির মায়াপুরী এলাকার ঘটনাটি ঘটে ৪ জানুয়ারিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর স্বামীর ফোন চুরি করে করেছে আনিস রাজ নামে এক ব্যক্তি। আনিস তাঁদের হুমকিও দিয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্তে মায়াপুরী এলাকায় পৌঁছন কনস্টেবল শম্ভু দয়াল। মহিলা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করেন। সঙ্গে সঙ্গে আনিসকে ধরেন পুলিশ কর্মী। আনিসের সঙ্গেই ছিল চুরি যাওয়া ফোনটি। যদিও বচসা শুরু করে অভিযুক্ত। তখন জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ কর্মী। সেই সময় পকেট থেকে ছুরি বের করে কনস্টেবল শম্ভু দয়ালকে নির্মম ভাবে কোপাতে থাকে আনিস।
[আরও পড়ুন: লোকসভার প্রস্তুতি শুরু! জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মোদি]
শম্ভু দয়ালের পেটে ও পিঠে ১২ বার ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে আনিস। দিনের আলোয় ভিড় রাস্তায় এই ঘটনা ঘটলেও কেউ ছিনতাইকারীকে বাধা দেয়নি। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, পথচারীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভয়ংকর দৃশ্য দেখছেন। শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কনস্টেবল শম্ভু দয়াল। এর পরেই ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। যদিও জনতা পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে ফলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
जनता की रक्षा करते हुए ASI शंभु जी ने अपनी जान तक की परवाह नहीं की। वे शहीद हो गये। हमें उन पर गर्व है।
उनकी जान की कोई क़ीमत नहीं पर उनके सम्मान में हम उनके परिवार को एक करोड़ रुपये की सम्मान राशि देंगे। https://t.co/RA3EW8MKXL
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) January 11, 2023
[আরও পড়ুন: আইনজীবীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় আমলা ও প্রাক্তন বিধায়ক, শোরগোল বিহারে]
অন্যদিকে রাজস্থানের সীকরের বাসিন্দা ৫৭ বছরের শম্ভু দয়ালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে দিল্লি থাকতেন তিনি। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং তিন পুত্র-কন্যা রয়েছে তাঁর। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর প্রয়াত হন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন, দিল্লি সরকারের তরফে কনস্টেবলের পরিবারকে ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে।