Advertisement
Advertisement

Breaking News

Headmaster Arrested

যোগীরাজ্যে শিক্ষিকাকে জুতোপেটা প্রধান শিক্ষকের, ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

লখিমপুর খেরির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনার নিন্দায় সরব শিক্ষামহল।

A School headmaster from UP arrested after hitting woman shiksha mitra with shoes | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 25, 2022 4:39 pm
  • Updated:June 25, 2022 4:58 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও শিক্ষক যদি এভাবে ছাত্র পেটাত তাতেও নিন্দা হত। এক্ষেত্রে তারচেয়েও মারাত্মক কাণ্ড ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুতোপেটা করলেন নিজেরই স্কুলের এক শিক্ষিকাকে। মারধরের ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিন্দায় সরব হয়েছে শিক্ষামহল। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। তাকে বরখাস্ত করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। 

ঘটনাটি রাজ্যের লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Kheri) একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ‘শিক্ষামিত্র’ বা প্যারা টিচার সীমা দেবীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার বর্মার বিরুদ্ধে। সোশ্যাল ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীদের সামনেই উত্তেজিত বচসা চলছে ওই শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে। আচমকাই শিক্ষিকাকে জুতো দিয়ে মারতে শুরু করেন প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার বর্মা। বেশ কয়েকবার আঘাত করার পর বাধা দেন পাশে দাঁড়ানো শিক্ষক। কিন্তু কেন এভাবে সহকর্মীর গায়ে হাত তুললেন অভিযুক্ত?

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদ নিয়ে রাজনীতি নয়’, নাম না করে BRICS সম্মেলনে চিনকে কড়া বার্তা মোদির]

জানা গিয়েছে স্কুলে উপস্থিতি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। এদিন সীমা দেবী স্কুলে পৌঁছালে প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি উপস্থিতির স্বাক্ষর করতে পারবেন না। এরপরেই বিষয়টিকে নিয়ে বচসা শুরু হয়। এবং মেজাজ হারিয়ে জুতো দিয়ে মহিলা সহকর্মীকে পেটান অভিযুক্ত অজিত কুমার বর্মা।

Advertisement

লখিমপুর খেরির শিক্ষা অধিকারী লক্ষ্মীকান্ত পাণ্ডে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “সীমাদেবী অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে ঘটনার তদন্তে।”

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোন পক্ষে? কেজরিওয়াল এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর নীরবতায় প্রশ্ন]

শুক্রবারের ঘটনার পর অজিত কুমার বর্মার বিরুদ্ধে প্যারা টিচার সীমাদেবী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। নিজের অভিযোগে জানান, ২৪ জুন ৭টা বেজে ৩৫ মিনিটে স্কুলে পৌঁছান তিনি। এরপরেও তাঁকে উপস্থিতির খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছিলেন না প্রধান শিক্ষক। তাঁর নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়। কেন এমন কাজ করা হল, প্রশ্ন করতেই তাঁকে মারধর করেন অজিত কুমার বর্মা। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ