Advertisement
Advertisement
বাবাকে খুন

মা-বোনের সামনে বাবার যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের কোপ, খুনের দায়ে গ্রেপ্তার ছেলে

হিন্দি ছবির সংলাপ বলতে বলতেই বাবাকে খুন করে সে।

A young man cuts his fathers genitals and murdered

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 27, 2020 3:39 pm
  • Updated:April 27, 2020 3:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে গলায় কামড় এবং পরে যৌনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে বাবাকে খুন করল ছেলে। ঘটনা মহারাষ্ট্রের নাগপুরের হাদকেশ্বর এলাকার। এই ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠছেন প্রায় সকলেই। যুবক ঠিক কী কারণে তার বাবাকে এভাবে খুন করল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। তার মা এবং বোনের উপস্থিতিতে খুন হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি বেশ ঘোরাল। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশই। তাই লকডাউনে সকলেই প্রায় গৃহবন্দি। ঠিক সেভাবেই মহারাষ্ট্রের নাগপুরের হাদকেশ্বর এলাকার এক পরিবারের ছবিও ছিল একইরকম। বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে ছোট্ট পরিবারের প্রায় সকলেই বাড়িতে ছিলেন। ওই পরিবারের গৃহিণীর দাবি, তাঁর স্বামী বসেছিলেন। আচমকাই তাঁর ছেলে বাবার কাছে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবার ঘাড়ে কামড়ে দেয় ছেলে। হু হু করে রক্ত বেরতে শুরু করে। বাবা ততক্ষণে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। মা ঘটনার আকস্মিকতায় নড়াচড়াও বন্ধ করে দেন। বাবাকে সোজা টেনে বাড়ির সামনের বারান্দায় নিয়ে চলে যায় সে। তার হাতে তখন ধারালো অস্ত্র। বারান্দায় বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ২৫ বছর বয়সি ওই যুবক বাবার যৌনাঙ্গে একের পর এক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান জখম ওই ব্যক্তি। নিহত ওই ব্যক্তির স্ত্রীর দাবি, তিনি এবং তাঁর মেয়ে খুনের ঘটনায় বাধা দেন। অভিযোগ, তাঁদেরও খুনের হুমকি দেয় হামলাকারী ওই যুবক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহামারির দিনলিপি, স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীরা লিখছেন দুঃসময়ের অভিজ্ঞতা]

এরপর কোনওক্রমে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয়। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশ ইন্সপেক্টর রাজকমল ওয়াঘমারে বলেন, “হামলাকারী যুবকের নাম বিক্রান্ত। সে একটি জিমে প্রশিক্ষকের কাজ করে। হিন্দি সিনেমার সংলাপ বলতে বলতেই সে তার বাবাকে খুন করে।” ঠিক কী কারণে ওই যুবক তার বাবাকে খুন করে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কারও প্রতি অত্যন্ত ঘৃণা বা বিদ্বেষ তৈরি না হলে যৌনাঙ্গ কেটে খুন করতে পারে না। তাই তদন্তকারীদের ধারণা, বাবার প্রতি কোনও কারণে বিদ্বেষ তৈরি হয়েছিল ছেলের। তাই এভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। কী কারণে বিদ্বেষ তৈরি হয়েছিল তা ওই যুবক এবং তার মা, বোনকে জেরা করে খোঁজ পাওয়া যাবে বলেই আশা পুলিশ আধিকারিকদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউন ভেঙে জমায়েত, হটাতে যেতেই পুলিশ কর্মীর হাত ভাঙল জনতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ