Advertisement
Advertisement
Middle class manifesto

‘মধ্যবিত্তের ইস্তেহার’, নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রের কাছে ৭ দফা দাবি আপের

মধ্যবিত্তকে শোষণ না করে তাঁদের স্বস্তি দেওয়ার আর্জি কেজরির।

AAP's 'middle class manifesto' lists 7 demands from Centre
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 22, 2025 1:56 pm
  • Updated:January 22, 2025 1:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার মধ্যবিত্তের ইস্তেহার প্রকাশের পথে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মধ্যবিত্তের সার্বিক উন্নতিতে মোদি সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি আপের। বুধবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তাঁর আর্জি, দেশের মধ্যবিত্তকে শোষণ না করে তাঁদের স্বস্তি দিক কেন্দ্র।

বুধবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘এই প্রথমবার মধ্যবিত্তের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে আমাদের দল।’ যদিও এতে কোনও নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি আপের তরফে। শুধু বলা হয়েছে, চতুর্থবার দিল্লিতে আপ সরকার গঠিত হলে মধ্যবিত্তের জন্য কাজ করবে সরকার। মধ্যবিত্তের জন্য আপের একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রের কাছে ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে। আপের তরফে যে আর্জি রাখা হয়েছে তা হল…

Advertisement

১. শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হোক। এবং গোটা দেশে বেসরকারি স্কুলগুলির বেতন কমানো হোক।
২. স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বাজেটও বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। এবং স্বাস্থ্যবিমায় কর প্রত্যাহার করুক সরকার।
৪. পুরানো নিয়মে বদল এনে বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর ছাড় ঘোষণা করুক কেন্দ্র।
৫. নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া হোক।
৬. চাকরি থেকে অবসরের পর দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সঠিক অবসরকালীন প্রকল্প আনুক সরকার, আনা হোক পেনশন প্ল্যান। পাশাপাশি সারা দেশের হাসপাতালে যাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করা হোক।
৭. এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের রেল যাত্রায় ভাড়ার উপর ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত আগে। সেই প্রকল্প পুনরায় চালু করা হোক।

এই সব প্রকল্প চালু করার দাবি জানিয়ে কেজরি বলেন, “দেশের মধ্যবিত্তের জন্য কোনও রাজনৈতিক দল কথা বলে না। দেশে একের পর এক সরকার এসেছে কিন্তু সবাই মধ্যবিত্তকে লুঠ করেছে, নিংড়ে নিয়েছে। কখনও মধ্যবিত্তের জন্য কিছু করা হয়নি, অথচ যখন ইচ্ছে এদের বিরুদ্ধে ট্যাক্স হাতিয়ার ব্যবহৃত হয়েছে। এটিএমের মতো লুঠ করা হয়েছে। ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি ‘ট্যাক্স টেরোরিজম’-এর শিকার। কেন্দ্র সরকারের উচিত এদের জন্য কিছু করা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement