Advertisement
Advertisement
TMC in Tripura

TMC in Tripura: বিপ্লব দেব ‘বিজেপির উন্মাদ’! ত্রিপুরার সভা থেকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

বিপ্লব দেবের 'দুয়ারে গুণ্ডা'র অবসান ঘটিয়ে 'দুয়ারে সরকার' প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।

Abhishek Banerjee attacks Tripura CM Biplab Dev as 'BJP's crazy' from the rally | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 31, 2021 3:02 pm
  • Updated:October 31, 2021 3:13 pm

সন্দীপ চক্রবর্তী, আগরতলা: জনসভার অনুমতি নিয়ে পুলিশের টালবাহানা, স্থান পরিবর্তন, আইনি লড়াই, তৃণমূলের জয় – একাধিক ধাপ পেরিয়ে রবিবার অবশেষে ত্রিপুরার (Tripura) রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্রভবনে জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর শুরু থেকেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে (Biplab Kumar Deb) কার্যত কড়া আক্রমণের পথেই হাঁটলেন তিনি। তীব্র শ্লেষের সুরে বললেন, ”আগে এখানে সিপিএমের হার্মাদ ছিল, এখন রয়েছে বিজেপির উন্মাদ।” বললেন, ”বিপ্লব দেব এখন বিগ ফ্লপ দেব।” বিপ্লব দেব সরকারকে চ্যালেঞ্জের সুরে তাঁর বক্তব্য, ”আজ খুঁটিপুজো হল, তেইশে বিসর্জন।”

অভিষেকের সভার ঠিক আগেরদিন থেকেই ত্রিপুরায় নয়া কোভিডবিধি (COVID-19) জারি করে প্রশাসন। বাংলা থেকে ত্রিপুরায় আসতে গেলে RT-PCR টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তা নিয়ে এদিন বক্তব্যের শুরুতে বিপ্লব দেবের উদ্দেশে কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বলেন, ”আমাকে আটকাতে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষকে কেন ভয় দেখাচ্ছেন? কোভিডবিধিই পালটে দিলেন, ১৪৪ ধারা জারি করলেন, কীসের এত ভয় বিপ্লববাবু?” ত্রিপুরার প্রশাসনিক কাজকর্মের উদাসীনতার একাধিক খতিয়ান তুলে ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্লেষ, ”এখানে গণতন্ত্র ধর্ষিত, জঙ্গলরাজ চলছে। দুয়ারে গুণ্ডা পাঠানো হচ্ছে। কাউকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আর দিল্লির ‘হ্যাঁ’তে ‘হ্যাঁ’ মিলিয়ে ‘জি হুজুর’ বলার রেওয়াজ শুরু হয়েছে। এই কালচার পালটাতে হবে। তাই আমি বলছি, দুয়ারে গুণ্ডা – এই অবস্থায় পালটে ত্রিপুরায় বাংলার মতো ‘দুয়ারে সরকার’ প্রতিষ্ঠা করব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত, ভুল স্বীকার করছি’, তৃণমূলে ফিরে মন্তব্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে বিজেপি (BJP)বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠাই এই মুহূ্র্তে তৃণমূলের এক ও একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যপূরণ করতে তৃণমূল যে আত্মবিশ্বাসী, অভিষেকের প্রতিটি কথাতেই যেন তার প্রতিফলন। কোন ইস্যু নিয়ে ত্রিপুরায় নির্বাচনী রণকৌশল স্থির করছে তৃণমূল (TMC), তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করলেন বেশ কয়েকটি শব্দ। কখনও বললেন, ‘আজ খুঁটিপুজো করলাম, ২০২৩ সালে বিসর্জন।’ কখনও আবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ‘কাল কোর্টে জিতেছি, তেইশে ভোটে জিতব।’ কখনও আবার তাঁর গলায় শোনা গেল, ‘আগামী দিনে দিল্লি ত্রিপুরা চালাবে না, ত্রিপুরা দিল্লি চালাবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: সর্দার প্যাটেলের আদর্শেই যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ভারত, দাবি মোদির]

এদিন অভিষেকের এই জনসভা একাধিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম জনসভা এটাই। নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় সভা করার আইনি অনুমতি, বড় জয় বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই সভাতেই প্রায় ৯ মাস পর দলে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলের জন্য ভুল কবুল করে, ক্ষমা চেয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে অভিষেকের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন রাজীব। তৃতীয়ত, রাজীবের পাশাপাশি অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক আশিস দাস। এই সভা থেকেই অভিষেক ত্রিপুরায় কার্যত ভোটের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন। বললেন, ”ভাইফোঁটা, কালীপুজোর পর আবার আসব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ