Advertisement
Advertisement

৬৫ বছরের সান্নিধ্য, ‘বন্ধু’ বাজপেয়ীর স্মরণসভায় আবেগঘন আডবানী

নামের মতোই সিদ্ধান্ত অটল ছিলেন বাজপেয়ী, বললেন মোদি।

Advani remembers ‘friend’ Atal Bihari Vajpayee in emotional speech
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 20, 2018 5:49 pm
  • Updated:August 20, 2018 5:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্বজন হারানোর ব্যাথা তিনিই পেয়েছেন। ৬৫ বছরের কর্মজীবনে বাজপেয়ীর ছায়াসঙ্গী লালকৃষ্ণ আডবানী তাঁর স্মরণসভায় আবেগে ভেসে যাবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা অন্য বক্তাদের মতো গুছিয়ে অটল-গাথা গাইলেন না আডবানী। তবে, যা বললেন তাতেই বোঝা যায় অগ্রজপ্রতিম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে কতটা ব্যথিত তিনি। বললেন, “কোনওদিন ভাবিনি অটলজির স্মরণসভায় আসতে হবে। উনি আমার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আসেননি, খুব দুঃখ পেয়েছি। আমি একথা এজন্যেই বলছি যাতে আপনারা বুঝতে পারেন আজ ওনার অনুপস্থিতিতে এই সভায় বক্তব্য রাখতে কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার।” আডবানী বললেন, “৬৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি ভাগ্যবান এই দীর্ঘ সময় ওনার সান্নিধ্য পেয়েছি। বাজপেয়ীজি যে শিক্ষা নিজের রাজনৈতিক জীবনে দিয়েছেন তা যদি আগামী দিনে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারি, তাহলে সবারই উপকার হবে। আশা করি ওনার শেখানো পথে দলের অন্য কর্মীরাও চলবেন।” তবে, কী দলের অনুজদের কোনও ইঙ্গিত করলেন আডবানী? না, ওনার শোকবার্তায় ইঙ্গিত খোঁজাটা হয়তো সমীচিন হবে না।

[পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লিখে ‘শুভেচ্ছা’ মোদির]

আডবানীর আগে অটল স্মরণে কিছুটা হলেও কংগ্রেসকে শ্লেষে বেঁধেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি বলেন, “সারাজীবন বাজপেয়ীজিকে ঘৃণা, অপমান, বাধা, শ্লেষ সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই নিজের মতাদর্শ থেকে সরে আসেননি অটলজি।” নামের মতোই কাজেও অটল ছিলেন তিনি, বললেন মোদি। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার শিক্ষা আডবানীজিই দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোখরানের পরমাণু পরীক্ষার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অটলজি। গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন ভারত কাউকে ভয় পায় না।

[বন্যার ভুল ভিডিও সম্প্রচার করে সমালোচিত প্রথম সারির সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম]

এদিনের স্মরণ সভায় বিজেপি তথা আরএসএস নেতাদের পাশাপাশি বিরোধীরাও উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের প্রতিদিধি হিসেবে হাজির ছিলেন দুই বর্ষীয়ান নেতা আনন্দ শর্মা ও গুলাম নবী আজাদ। বাম নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন ডি রাজা। অন্য দলের প্রতিনিধিরাও এদিন স্মরণ করেন বাজপেয়ীকে। সকলেই স্মৃতিচারণায় অটলজির দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সাফল্যের কথা বর্ণনা করেন। অথচ এই বিরোধীদের অনেকেই ক্ষমতায় থাকাকালীন বাজপেয়ীজির বিরোধিতা করেছিলেন। সেজন্যেই হয়তো, আজ স্মরণসভায় আডবানীর আপশোস, “আজ আমরা তাঁকে নিয়ে যেসব কথা বলছি, সেসব যদি তাঁর জীবিতাবস্থায় বলা হত, তাহলে কতো ভাল হত!”    

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ