বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে পরাজয়ের পরেই ডামাডোল আম আদমি পার্টি শিবিরে। দিল্লি হাতছাড়া হতেই পঞ্জাবের দিকে নজর কেজরিওয়ালের। সেখানে পরিষদীয় দলে ভাঙন রুখতে মঙ্গলবার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন আপ সুপ্রিমো। ওই বৈঠকে দলের ৯২ বিধায়কের মধ্যে ৯১ জন বৈঠকে হাজির হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। আবার বৈঠকের পরেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল নিয়ে জল্পনা উসকে দিয়েছে বিজেপি। ভগবন্ত সিং মানের বদলে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা।
দলবদলের প্রশ্নই ওঠে না। ২৫ সাল পর্যন্ত আপের সরকার থাকবে। বিধায়কদের দলবদলের সম্ভাবনার যে কথা শোনা যাচ্ছে তা বিজেপি ও কংগ্রেসের চক্রান্ত। কেজরিওয়ালকে স্বস্তি দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন বৈঠকে হাজির ৯১জন বিধায়ক। দলবদল কংগ্রেসের সংস্কৃতি, আপের নয়। মঙ্গলবার দিল্লিতে তাঁর রাজ্যের আপ বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই দাবি করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পঞ্জাবের আপ সরকারের কোনও সংকট নেই।”
শনিবার দিল্লির বিধানসভা ভোটে আপের ভরাডুবির পরেই দলের পঞ্জাব সরকারের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া দাবি করেন, ৩০ জন আপ বিধায়কের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। তার পরেই তড়িঘড়ি পঞ্জাবের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করলেন কেজরি। দিল্লিতে আপ সরকারের পতনের পরে কেজরি-ঘনিষ্ঠ মানের ‘ভবিষ্যৎ’ ঘিরে তাই তৈরি হয়েছে জল্পনা এবং সংশয়। এমনকি, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিণ্ডের পথ অনুসরণ করে মান এ বার কেজরিকে ছেড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএ-তে শামিল হতে পারেন বলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আবহে দিল্লির বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক হাজির হওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে কেজরি।
অন্যদিকে, আপ বিধায়ক আমানততুল্লা খানকে পুরনো দু’টি মামলায় দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে ধুন্ধুমার বেধে যায়। আপের সমর্থকরা পুলিশের হাত থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নেয়। আগাম জামিনের জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্ত হয়েছেন আপের এই বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.