সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার ঘটনাস্থল বিহারের বক্সার। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দগ্ধ দেহ। গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় ওই তরুণীকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিহার পুলিশ।
হায়দরাবাদ কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। ঘটনার নিন্দায় সরব সব মহল। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৪ অভিযুক্ত। তাঁদের কঠোরতম শাস্তির অপেক্ষায় দেশবাসী। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ফের বিকৃত লালসার শিকার এক তরুণী। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিহারের বক্সার এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেহ। ঠিক যেভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল হায়দরাবাদ কাণ্ডের নির্যাতিতা পশু চিকিৎসককে। সূত্রের খবর, বিহারের যে এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ পাওয়া গিয়েছে, ওই এলাকা কার্যত জনমানবহীন। দেহের পাশ থেকে কোনও সামগ্রীও মেলেনি। সেই কারণেই ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও এখনও অভিযুক্তদের হদিশ পায়নি পুলিশ। জানা যায়নি নির্যাতিতার পরিচয়ও। অভিযুক্তদের হদিশ পেতে তদন্ত শুরু করেছে বিহার পুলিশ।
[আরও পড়ুন:বুরারির ছায়া গাজিয়াবাদে, সন্তানদের মেরে স্ত্রী ও সঙ্গিনীকে নিয়ে মরণঝাঁপ ব্যবসায়ীর]
হায়দরাবাদ কাণ্ডের পর মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল বিহার পুলিশ। একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল এডিজি ক্রাইমের নেতৃত্বে। সেই বৈঠকেই এডিজি পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে, দ্রুতই মহিলাদের দায়ের করা নিগ্রহের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। পুলিশের এই তৎপরতা সত্ত্বেও বিহারের এই ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন।