Advertisement
Advertisement

‘র’-এর বিশেষ বিমানে দেশে ফিরল চপার কেলেঙ্কারির দুই অভিযুক্ত

লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় সাফল্য কেন্দ্রের৷

Agusta Westland chopper scam accused in India
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 1, 2019 11:16 am
  • Updated:February 1, 2019 11:16 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিভিআইপি কপ্টার কেলেঙ্কারি মামলায় দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করা হল ব্যবসায়ী রাজীব সাক্সেনা এবং উড়ান সংক্রান্ত দপ্তরের লবিয়িস্ট দীপক তলোয়ারকে৷ তাদের গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার এই দু’জনকে দুবাই থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করল নয়াদিল্লি। দুবাই থেকে একটি ‘র’-এর বিশেষ বিমানে এই দুই ব্যক্তিকে উড়িয়ে আনা হয় ভারতে।

[রেলের শূন্যপদে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধদের নিয়োগ, সরব কর্মী সংগঠন ]

Advertisement

৩৬০০ কোটি টাকার ভিভিআইপি কপ্টার কেলেঙ্কারি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সাক্সেনা। অন্যদিকে ৯০ কোটি টাকার বিদেশি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে দীপকের বিরুদ্ধে। সাক্সেনা ও দীপক দু’জনকেই অর্থ তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার দুবাই প্রশাসন সাক্সেনা ও দীপককে আটক করে। পরে তাঁদের ভারতীয় তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি এ দিন এই দু’জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায়। তার পরই তাঁদের আদালতে তোলা হয়। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক অরবিন্দ কুমার এদিন সাক্সেনাকে চারদিন এবং দীপককে সাতদিন ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কপ্টার দুর্নীতির এই মামলায় ডিসেম্বর মাসে ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিশ্চান জেমস মিশেলকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। মিশেল বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সাক্সেনার আইনজীবী এদিন অভিযোগ করেছেন, তাঁর মক্কেলের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের কোনও নিয়মই মানা হয়নি। এমনকী, তাঁর মক্কেলকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের আগে পরিবার বা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগও দেওয়া হয়নি।

Advertisement

[আজ থেকেই কার্যকর TRAI-এর নির্দেশিকা, পে চ্যানেলের জন্য গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা]

যদিও ইডির দাবি, দুবাইয়ের বাসিন্দা সাক্সেনাকে একাধিকবার তদন্তের কাজে সহযোগিতা করার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। কপ্টার কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত গৌতম খৈতানের সঙ্গে সাক্সেনার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। ২০১৭–র জুলাইয়ে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে সাক্সেনার স্ত্রী শিবানীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। অন্যদিকে দীপকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। নিজের একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে দীপক ইউরোপের একটি সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ৯০.৭২ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে ইউপিএ জমানায় বিমান সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তির ক্ষেত্রে দীপকের ভূমিকা তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে। দীপকের বিরুদ্ধে ইডি ছাড়াও সিবিআই এবং আয়কর দপ্তরও অভিযোগ দায়ের করেছে।

[কী কী থাকতে পারে মোদি সরকারের শেষ বাজেটে?]

এদিকে সাক্সেনা ও দীপকের গ্রেপ্তারির ঘটনায় বিজেপি যথারীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি সরকারের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছে৷ তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট একটি দলের প্রশ্রয়েই এতদিন দুর্নীতিগ্রস্তরা গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পেরেছে। রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ তিনি জানতে চান, দুই দুর্নীতিবাজকে মোদি যেভাবে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন, তাতে কংগ্রেস সভাপতি কি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাবেন না? অন্যদিকে কংগ্রেস এই গ্রেপ্তারিকে বড় কোনও ঘটনা বলে মানতে নারাজ। কংগ্রেসের দাবি, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই এই চমক মোদি সরকারের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ