সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করা এবং গোমাংস বিক্রি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে বেজায় বিপাকে পড়লেন আজমের শরিফের দিওয়ান জাইনুল আবেদিন। এবার তাঁকে অমুসলিম আখ্যা দিয়ে দিওয়ান পদ থেকে বরখাস্ত করলেন তাঁরই ভাই সৈয়দ আলাউদ্দিন আলিমি। এবার নিজেকে আজমেরের বিখ্যাত খোয়াজা মইনউদ্দিন চিস্তির দরগার দিওয়ান হিসাবে দাবি করলেন আলিমি। তাঁর দাবি, তিনিই এখন দিওয়ান। চিস্তি সম্প্রদায়ের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। মোদিকে সমর্থন করায় ভাই আবেদিনের বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধী কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন আলিমি। কিন্তু, আলিমির দাবিকে নস্যাৎ করেছে দরগা কমিটি। আবেদিনও দাবি করেছেন, দরগা খোয়াজা সাহেব আইন অনুযায়ী (১৯৫৫) আলিমি এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন না। তিনি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন।
[জানেন, মুসলিমদের ভাল বন্ধু বলে মনে করেন কত শতাংশ হিন্দু?]
বস্তুত, আজমের শরিফের দিওয়ানের পদে দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে সুফি সম্প্রদায়ের মানুষই বসেছেন। দরগার প্রশাসনিক বিষয় হস্তক্ষেপ করতে না পারলেও দিওয়ানরা মাসিক ভাতা পায়। সেই ভাতা ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার নিয়োজিত প্রশাসনিক কমিটি। আলিমি জানিয়েছেন, তাঁর কোনও ভাতা চাই না। কিন্তু দরগায় আর কোনও দিন আবেদিনকে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন আলিমি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধেয় যখন ধর্মীয় আচার পালন করছিলেন আবেদিন, তখনই দরগায় ঢুকে দিওয়ানের ‘গদ্দি’তে বসে নিজেকে সাজ্জাদানাশিন বা দিওয়ান বলে ঘোষণা করেন আলিমি। আলিমি জানিয়েছেন, সংবাদপত্রে আবেদিনের মোদিকে সমর্থনের কথা পড়েই বেশ কিছু মুফ্তিদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। কোরানবিরোধী বক্তব্য রেখে আর মুসলিম নন আবেদিন। আর তাঁর দিওয়ান থাকার অধিকার নেই। কিন্তু আবেদিনের বক্তব্য, তাঁর ভাই নিজেকে সাজ্জাদানাশিন ঘোষণা করতে পারে না। আলিমিকে এই পদের যোগ্যই মনে করেন না তিনি। আলিমিকে জব্দ করতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আবেদিন। তবে আবেদিনের পাশে রয়েছে দরগা কমিটি। কমিটির সিইও এম এ খান জানিয়েছেন, আইনত আবেদিনই সাজ্জাদানাশিন থাকবেন। দুই ভাইয়ের ঝামেলার মধ্যে কমিটি হস্তক্ষেপ করবে না বলে খোলসা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আবেদিন সমস্ত গবাদি পশুর হত্যা বন্ধ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন। আর তাতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।