Advertisement
Advertisement

Breaking News

ITBP

‘চমকাতে পারবে না চিন’, অরুণাচলে লালফৌজকে হুঁশিয়ারি ITBP কমান্ডারের

তারা যে পুরোপুরি প্রস্তুত, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

Alertness levels very high, China can't surprise us, says ITBP commander on LAC in Tawang sector | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:December 26, 2020 12:14 pm
  • Updated:December 26, 2020 12:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুযোগ পেলেই থাবা বাড়াতে প্রস্তুত লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে অটুট ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (ITBP) নজরদারি। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত সীমান্তরেখার কাছে তৈরি রয়েছে তাদের জওয়ানরা। কোনও ভাবেই এই অঞ্চলে তাদের চমকাতে পারবে না চিন (China)। এভাবেই বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিলেন আইটিবিপির ৫৫ ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার আইবি ঝা।

শনিবার ওই অফিসার বলেন, ‘‘আমাদের কেউ চমকাতে পারবে না। দেশকে রক্ষা করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে আমরা তৈরি রয়েছি পুরোপুরি।’’ ইতিমধ্যেই গত এপ্রিল-মে মাসে লাদাখে (Ladakh) আইটিবিপি জওয়ানরা যেভাবে চিনা সেনাকে টক্কর দিয়েছেন, সেকথা মনে করিয়ে দেন কমান্ডার ঝা। তাঁর কথায়, ‘‘লাদাখে আমাদের সেনা দুর্দান্ত লড়াই করে নিজেদের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় এখানে অবস্থিত সেনারা আমাকে প্রায়ই বলে লাদাখের মতো এখানেও তারা সুযোগ পেলেই দুর্দান্ত লড়াই করতে মুখিয়ে রয়েছে।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: পদ পাইয়ে দিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ, স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে মামলা আন্তর্জাতিক শ্যুটারের]

গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে লড়াই করেছিলেন ITBP’র জওয়ানরাও। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় জমিতে চিনা হানাদারদের প্রবেশ করতে দেয়নি তারা। পরিস্থিতি এমনও ছিল, টানা কুড়ি ঘণ্টা লড়তে হয়েছিল তাদের। সেই লড়াই-ই অনুপ্রাণিত করেছে অরুণাচল প্রদেশে মোতায়েন সেনাদেরও। কমান্ডার ঝায়ের কথা অনুযায়ী, সর্বশক্তি দিয়ে লালফৌজকে রুখতে মরিয়া হয়ে রয়েছে তারা। তাওয়াং সেক্টরটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অঞ্চল। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এই অঞ্চলের অনেক ভিতর পর্যন্ত প্রবেশ করেছিল চিনা সেনা।

প্রসঙ্গত, ITBP-তে আরও ১০ হাজার জওয়ান নিয়োগের বিষয়টিতে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার ক্যাবিনেটের সম্মতি মিললেই শুরু হবে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া। প্রায় ৯০ হাজার জওয়ান নিয়ে গঠিত ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বাহিনী মূলত চিনের সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার লম্বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সুরক্ষায় মোতায়েন থাকে। লাদাখের (Ladakh) কারাকোরাম গিরিপথ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশের জাচেপ লা পর্যন্ত সীমান্তের নজরদারি করে ভারতের এই আধা সামরিক বাহিনীটি।

[আরও পড়ুন: আশার আলো, ২ দিন পরই চার রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিন যুদ্ধের ‘ড্রাই রান’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ