Advertisement
Advertisement
Gyanvapi Mosque

জ্ঞানবাপীতে পুজোয় বাধা নেই, মসজিদ কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ এলাহাবাদ হাই কোর্টে

পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত বারাণসীর জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।

Allahabad HC dismisses plea challenging order permitting Hindu parties to offer puja in Gyanvapi Mosque | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 26, 2024 10:36 am
  • Updated:February 26, 2024 11:41 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) ‘তহখানা’য়  পুজোর অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। অর্থাৎ পুজো নিয়ে আর কোনও বাধা নেই। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চে। দু পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বারাণসীর (Varanasi) জেলা ও দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করলেন বিচারপতি। পুজোর অনুমতি জারি থাকায় স্বভাবতই খুশি হিন্দুরা।

এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই রায়ের পর হিন্দুদের পক্ষের আইনজীবী প্রভাস পাণ্ডে জানান,  তহখানায় পুজো করা নিয়ে বারাণসী জেলা আদালত যে রায় দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম কমিটি এলাহাবাদ হাই কোর্টে যায়। কিন্তু আজ তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। তার মানে পুজো চলবে। এটা সনাতন ধর্মের পক্ষে বড় জয়। মুসলিম পক্ষ আবারও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। তবে পুজো বা আরতিতে বাধা পড়বে না।” 

[আরও পড়ুন: কার নির্দেশে সন্দেশখালির আন্দোলন? ‘ম্যাডাম’-এর নাম বলে রহস্য বাড়ালেন মহিলা]

জ্ঞানবাপীর ‘তহখানা’য় পুজোর অনুমতি দিয়ে বারাণসী জেলা আদালতের রায়ের পর গত ২ তারিখ তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ।  শুনানির পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রায় সংরক্ষিত (Reserve) রাখেন বিচারপতি। সোমবার হাই কোর্টের তরফে জানানো হল, তহখানায় পুজো চলবে। উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে মোট ৪ টি তহখানা রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রার্থনা চলত। এবার এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ে পুজো, আরতি চলবে। 

[আরও পড়ুন: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি, অশোকনগরে পরিচিতর বাড়িতেই খুন তৃণমূল উপপ্রধান]

 

আগেই জানা গিয়েছিল, এএসআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে মসজিদের ওজুখানা চত্বরে অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গেই হনুমান, বিষ্ণু, নান্দীর মূর্তিও থাকার কথা জানাচ্ছে রিপোর্ট। রয়েছে মধ্যযুগীয় দেবদেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্যও। অর্ধেক হনুমান ও অর্ধেক সাপের দৈব ভাস্কর্যও সেখানে মিলেছে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, ওই চত্বরে বিভিন্ন দেবদেবীর সন্ধান পাওয়া সেখানে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির একটি মিশ্রণের দিকেই ইঙ্গিত করছে। এই অবস্থায় হিন্দুপক্ষকে পুজোর অনুমতি দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টেও পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। তার পরে সোমবার আদালতে জমা পড়ে এএসআইয়ের রিপোর্ট।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ