সংবাদ প্রতিডিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ্যপান জীবনের অঙ্গ। জরুরি পরিষেবার মতোই খুলতে হবে মদের দোকানও। এমনটাই দাবি মেঘালয়ের বিজেপি রাজ্য সভাপতি এরনেস্ট মাওরির (Ernest Mawrie)। এই মর্মে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে (Conrad K Sangma) একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি। মাওরির দাবি, মেঘালয়ের বাসিন্দাদের অধিকাংশই নিয়মিত মদ্যপান করেন। তাই ওই রাজ্যে মদ জরুরি পরিষেবার মধ্যেই পড়ে।
লকডাউনের জেরে দেশজুরেই মদ বিক্রি বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা ভেবে কেরল সরকারের মতো মেঘালয় সরকারও মদের হোম ডেলিভারির অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু গত ২৫ মার্চ তা বাতিল করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই গোটা মেঘালয়ে প্রতিদিন ‘ড্রাই ডে’ চলছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, লকডাউনের জেরে মদ বিক্রি বন্ধ থাকায় বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তাই সরকারের উচিত অন্তত সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে সুরাপানের বন্দোবস্ত করা।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে বাংলার ভাঁড়ারে স্বস্তি, ৯০০ কোটির বেশি প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র]
এরনেস্ট মাওরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি মেঘালয়ের একটি বড় মদ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদকও। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিজেপি নেতা বলছেন, “মদ বিক্রি বন্ধ হওয়ার পর সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এর চাহিদা বাড়ছে। মেঘালয়ের বেশিরভাগ মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করেন। এটা জীবনের আবশ্যক অঙ্গ। তাই দয়া করে সপ্তাহের অন্তত কিছু কিছুদিন জরুরি পরিষেবার মতো আপনি মদ বিক্রির অনুমতি দিন।” অনুরোধের পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন, মদ ব্যবসায়ীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিক্রি করবেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউন ভেঙে নামাজ পড়ার ধুম, বোঝাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরা]
উল্লেখ্য, মদ বিক্রি বন্ধ থাকায় অবসাদে গোটা দেশ থেকেই আত্মহত্যার খবর আসছে। শুধু কেরলেই এই কারনে ৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। মদ না পেয়ে অসুস্থও হচ্ছিলেন বহু মানুষ। বাধ্য হয়ে কেরল সরকার অনলাইনে মদ বিক্রির অনুমতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয়।