সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে শরিকি কোন্দলের জেরে। এবার ঝাড়খণ্ডেও ক্ষমতা হারানোর মুখে গেরুয়া শিবির। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে, ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বিজেপিকে বসতে হবে বিরোধী আসনে। এই মুহূর্তে কংগ্রেস-জেএমএম (Jharkhand Mukti Morcha) জোট চল্লিশের বেশি আসনে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, বিজেপি এগিয়ে তিরিশের কম আসনে। বিজেপির এই পরাজয়ের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে জোট গঠনের ব্যর্থতাকে। কংগ্রেস-জেএমএম এবং আরজেডি যেখানে মসৃণভাবে জোট গড়ে প্রচার চালিয়েছে, সেখানে একে এক জোটসঙ্গীরা বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে আগে একে একে গেরুয়া শিবিরের হাত ছেড়েছে জেডিইউ, এজেএসইউ পার্টি এবং এলজেপি।
গতবছরের তুলনায় ভোট বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। অথচ, আসন সংখ্যা অনেকটাই কম বিজেপির। একই পরিস্থিতি প্রাক্তন জোটসঙ্গী এজেএসইউ-এরও। তাঁদেরও ভোট প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভোটের আগে আগেই জোট ভেঙে যায় আজসু আর বিজেপির। তারপরই দেখা যাচ্ছে, দুই দলেরই ভোট বেড়েছে, কিন্তু আসন কমেছে। আসলে, অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে এই দুই দল একে অপরের ভোট কেটে নিজেদের ভোট বাড়িয়েছে । যার সুবিধা পেয়েছে বিরোধীরা। জোট ভাঙার ফলে ধাক্কা খেতে হয়েছে দুই দলকেই। ফলে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, আজসুর সঙ্গে জোট করলে হয়তো ফলাফল এতটা খারাপ হত না।
স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, দুই শরিকের এই কোন্দলই সুবিধা করে দিয়েছে কংগ্রেস-জেএমএমের। আবার বিরোধী শিবির একে অপরের ভোটব্যাংকের উপর নির্ভর করে আসনসংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে। ২০১৪ নির্বাচনে আজসু পার্টি ও বিজেপি লড়েছিল জোট করে। তাতে আজসু পার্টি লড়েছিল মাত্র ৮ আসনে। বাকি আসনগুলিতে লড়ে বিজেপি। এবারে আজসু অধিকাংশ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এবং বেশ কয়েকটি আসনে দেখা গিয়েছে, আজসুর ভোট কাটাকাটির ফলেই হারতে হয়েছে বিজেপিকে। আবার একটি আসনে বিজেপি ভোট কাটায় হারতে হয়েছে আজসুকে। শুধু আজসু নয়, ঝাড়খণ্ডে ভোটের আগে বিজেপির আরও দুই সঙ্গী তাঁদের হাত ছেড়ে যায়। জেডিইউ এবং এলজেপি, দুই দল আলাদা লড়ার ফলেও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.