সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা মুলায়মের সঙ্গে নয়, অধিকাংশ দলীয় বিধায়কদের সমর্থন তাঁর পক্ষেই। য়খন এমনই দাবি তুলছেন অখিলেশ, ঠিক তখনই তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় বিধায়কদের সই জাল করার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন অমর সিং। তাঁর অভিযোগ, দলীয় বিধায়কদের সই জাল করে নিজের শিবিরকে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রমাণ করতে চাইছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, অখিলেশ-মুলায়মের ঝগড়ায় অমর সিং মুলায়মের পক্ষেই। এদিন অখিলেশকে আক্রমণ করে অমর সিং আরও বলেন, অখিলেশ ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসলে তবেই সে সংখ্যাগরিষ্ঠ দাবি করতে পারে, নচেৎ নয়।
বাবা মুলায়ম ও ছেলে অখিলেশের সম্পর্কে চির ধরা পড়তে দুজনেই দলের নেতৃত্ব ও দলীয় প্রতীক সাইকেলকে নিজের দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে দু’তরফেরই দাবি, তাঁরা উপযুক্ত নথি দাখিল করেছেন কমিশনের কাছে। তবে আরও নথি জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের হাতে সোমবার পর্যন্ত সময় রয়েছে। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়করা কার তরফে রয়েছে সেবিষয়ে তাঁদের সাক্ষরিত হলফনামা কমিশনে জমা দেওয়ার কথা।
এক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানের জন্য দলীয় বিধায়ক, সাংসদ ও কাউন্সিলরদের ৫১ শতাংশ সমর্থন প্রয়োজন। সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্ব কে, নির্বাচন কমিশন ১৭ জানুয়ারির মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত জানাবে। এদিকে প্রথম দফা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়সীমা রয়েছে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিকে দলের মধ্যে অধিকাংশ বিধায়ক মুলায়ম নাকি অখিলেশ কার দিকে রয়েছেন, ১৭ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত না জানালে সমাজবাদী পার্টিতে সংকট নিশ্চিত। বাবা ছেলের ঝগড়ায় তাতেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলীয় প্রতীক হারাতে পারে উত্তরপ্রদেশের শাসক দল। কারণ বাবা-ছেলে দুপক্ষই একসঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে পারেন না। তাই সেক্ষেত্রে মুলায়ম-অখিলেশ আলাদা হয়ে নতুন দল গঠন করলে দুই দলের একই প্রতীক হওয়া সম্ভব নয়। তাই ১৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে মুলায়ম ও অখিলেশ শিবির।