সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে সেই মানুষের কর্মজীবন, সংগ্রামকে অনুপ্রেরণা করে দেশে স্বচ্ছতা অভিযান চালাচ্ছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রীরই সেনাপতি হয়ে মহাত্মা গান্ধীকে চরম অপমান করলেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শালীনতার সব সীমা ছাড়ালেন। ছত্তিশগড় সফরে গিয়ে কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে প্রকাশ্য সভায় মহাত্মা গান্ধীকে ‘চতুর বানিয়া’ বা বুদ্ধিমান দোকানি বলে কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ। মোদির সেনাপতির এমন কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণকে তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। অমিত শাহর এহেন মন্তব্যেও অনেকেই স্তম্ভিত ও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন।
[বদ্রীনাথে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, ডানার আঘাতে মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারের]
ছত্তিশগড়ের রায়পুর গিয়ে রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সভায় উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসের কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি নেই। কংগ্রেস কোনও একটি বিশেষ ভাবধারা বা সিদ্ধান্তের উপর গড়ে ওঠেনি। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কংগ্রেস ছিল স্রেফ একটা প্ল্যাটফর্ম। মহাত্মা গান্ধীর দূরদৃষ্টি ছিল। তারপরই অমিত বলেন, ‘চতুর বানিয়া’ মহাত্মা গান্ধী জানতেন কী হতে পারে। তাই স্বাধীনতার পরই তিনি কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু মহাত্মা তা করেননি, বরং এখন কিছু লোক দল ভাঙার কাজ করে চলেছেন। এরপরই অমিতের দাবি, কংগ্রেসের কোনও আদর্শ ছিল না, দেশ চালানো, সরকার চালানোর কোনও সিদ্ধান্তই ছিল না বলেই নাকি মহাত্মা গান্ধী এমন কথা বলেছিলেন।
[কাশ্মীরে সন্ত্রাসের টাকা আসছে কোথা থেকে, গিলানির জামাইকে জেরা গোয়েন্দাদের]
অমিত শাহর এই মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার মুখে। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেরই অপমান করেছেন অমিত শাহ। ক্ষমতার কারবারি হয়ে স্বাধীনতার লড়াইকে ব্যবসায়ীক মডেল বলেছেন অমিত শাহ, জানান সুরজেওয়ালা। কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, সংঘকে ব্রিটিশ সরকার তাদের উদ্দেশ্যপূরণের বিশেষ হাতিয়ার হিসাবেই ব্যবহার করেছিল। মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।