Advertisement
Advertisement
Amit Shah Citizenship Amendment Act

‘শাঁখের করাত’, অসমের জনসভা থেকেও CAA কার্যকর করা নিয়ে নীরব অমিত শাহ

বাংলা এবং অসমের নির্বাচনের আগে CAA নিয়ে উভয় সংকটে বিজেপি?

Amit Shah refrained from saying anything about the Citizenship Amendment Act in Assam | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 24, 2021 5:28 pm
  • Updated:January 24, 2021 5:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবে কার্যকর হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন? এখনও উত্তর মিলল না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছ থেকে। রবিবার অসমের নির্বাচনী জনসভা থেকেও এই ইস্যুতে একপ্রকার নীরবই থাকলেন তিনি। উনিশের লোকসভার পর সংসদে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বেশ ঘটা করেই CAB বিল পাশ করিয়ে নেয় বিজেপি। কিন্তু তার পর প্রায় ১৩ মাস কেটে গেলেও এই আইন কার্যকর হয়নি।

আসলে, এবারে অসমের নির্বাচনের অন্যতম বড় ইস্যু হতে চলেছে এই CAA। এনআরসির (NRC) ফলে অসমের হিন্দু বাঙালিদের একটা বড় অংশ নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে এঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। কিন্তু পাশ হওয়ার পর থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন অসমের ভূমিপুত্ররা। রবিবার অমিত শাহ (Amit Shah) যখন বক্তব্য রাখছেন, তখনও অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AASU) রাজ্যজুড়ে এই আইনের বিরোধিতা করেছে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিলিপিও পুড়িয়েছে তারা। সম্ভবত এই বিক্ষোভের জেরেই সিএএ ইস্যুতে নীরব থেকে গেলেন অমিত শাহ। শনিবারই অসমে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খোলেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘হাজারবার জয় শ্রীরাম বলুন…’, ভিক্টোরিয়ায় স্লোগান বিতর্কে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]

বিজেপির ক্ষেত্রে মুশকিল হল, এই মুহূর্তে সিএএ কার্যকর হলে অসমের ভূমিপুত্রদের একটা বড় অংশের ভোট তাদের হাতছাড়া হতে পারে। আবার একই সময়ে বাংলা এবং অসমের নির্বাচন। সিএএ বাংলার নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বাংলার প্রায় ৩০ টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আইন কার্যকর করার দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছেন খোদ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। যা পরিস্থিতি, তাতে এই মুহূর্তে বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর করলে অসমে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকে। আবার না কার্যকর করালে বাংলায় চাপে পড়বে বিজেপি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ