সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে যুব প্রজন্মর বিপথগামী হওয়ার প্রবণতা চলছেই। এবার ছুটি কাটাতে বাড়িতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার মান্নান বশির ওয়ানি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সতীর্থরা এ খবর শুনে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানতেন, মান্নান ছুটির অবসরে কাশ্মীরের কুপওয়ারায় নিজের বাড়িতে গিয়েছে। আচমকাই রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-৪৭ হাতে নিয়ে তার একটি ছবি দেখে তদন্তকারীরাও চমকে ওঠেন। ছবিতে যাকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যাচ্ছে, তদন্তে জানা যায় ওই ব্যক্তি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত চার-পাঁচ বছর ধরে জিওলজি ডিপার্টমেন্টে পাঠরত।
কাশ্মীরে যুবকরা দলে দলে বিপ জঙ্গিদের দলে নাম লেখাচ্ছে। জঙ্গি দলের চাঁইরা কখনও ধর্মের নামে, কখনও আবার টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিভাবান যুবকদের লস্কর, হিজবুল ও জইশের মতো জঙ্গি সংগঠনের দিকে টেনে আনছে। ওই একই পদ্ধতিতে মান্নানকেও জঙ্গিদের দলে নাম লেখাতে বাধ্য করা হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু এই প্রবণতাকে মোটেও হালকাভাবে দেখছেন না গোয়েন্দারা। ওই স্কলারের বয়স মাত্র ২৫ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগামে পাঠরত ওই যুবক গতবছর কাশ্মীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে পেপার সাবমিট করে পুরস্কৃতও হন। সেই ওয়ানিই কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিল্লি হয়ে কাশ্মীর ফিরে যান। তার সতীর্থরা ভেবেছিলেন, বাড়িতে যাচ্ছে ওয়ানি। আর তারপরই এই চাঞ্চল্যকর ছবি প্রকাশ্যে এল। যা দেখে হতবাক সকলে।
Mannan Wani a student of PhD in Aligarh Muslim university has joined Hizb-ul-Mujahdeen. He won the Best Paper Presentation Award for his research paper in 2016 at Aligarh Muslim University #AMU pic.twitter.com/CP4u7NX4aW
— Arvind Chauhan (@arvindcTOI) January 8, 2018
ওয়ানির পরিবার সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে সে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ওয়ানির ভাই বলেছে, ‘আমরা নিজেরাও ওই ছবি দেখে অবাক। কিন্তু আমাদের কোনও ধারণা নেই কেন জঙ্গিদের দলে নাম লেখল দাদা। আমাদের সঙ্গে ওঁর শেষ কথা হয় ৪ জানুয়ারি। তারপর থেকেই ওর ফোন বন্ধ।’ গত শনিবার থানায় এই বিষয়ে ডায়েরি দায়ের করেছে ওয়ানির পরিবার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একজন শিক্ষিত গবেষক কেন জঙ্গিদের দলে নাম লেখাতে গেল, ভেবে কূল পাচ্ছেন না কেউই। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.