স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: মোবাইল ব্যবহারের নেশা সংসদে বিপাকে ফেলল বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরকে। শুনতে হল অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজনের ধমক। সংসদ কক্ষে মোবাইল দিয়ে ভিডিও তোলার জন্য সাংসদকে তিরস্কার করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ। ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার জন্য সতর্কও করলেন। ক্ষমা চেয়েই মিলল নিস্তার। কিন্তু বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস। কেন বিজেপি সাংসদের শাস্তি হল না? সেই অভিযোগে নতুন করে সরব বিরোধী দল।
[অমিত শাহকে রাজ্যসভার প্রার্থী করছে বিজেপি]
চলতি মাসের ২৪ তারিখে বিরোধী শিবির যখন লোকসভার ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল সে সময় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর তাঁর মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ ঠাকুরের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। আপ সাংসদ ভগওয়ান্ত মান স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে ঠাকুরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ জানান। এর পরই স্পিকার বুধবার বলেন, “আমি সে দিন বিষয়টি দেখিনি। তবে কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে থাকেন তবে সেটা নিন্দনীয়। যদি আপনি (অনুরাগকে লক্ষ্য করে) এই কাজ করে থাকেন, তবে তার জন্য সভার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন।”
[খুনের মামলা তুলে ধরে নীতীশকে পালটা আক্রমণ লালুর]
এর পরই অনুরাগ বলেন, “কেউ যদি আমার মোবাইল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে থাকেন তবে তার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।” অনুরাগের দুঃখপ্রকাশের পর অধ্যক্ষ জানান, দ্বিতীয়বার যেন এ ধরনের ভুল না হয়। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কেবল ক্ষমা চেয়েই অনুরাগ নিস্তার পেয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। সংসদের বাইরের ভিডিও তোলার জন্য আপ সাংসদ ভগওয়ান্ত মানকে যেখানে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, সেখানে অনুরাগকে কেন শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হল? এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের হয়ে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
[কারগিল বিজয় দিবসেও বায়ুসেনাকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ ধানোয়ার]