Advertisement
Advertisement
নির্বাচন কমিশন

অভিনব নিয়ম, সন্দেহ হলে মিলবে দ্বিতীয়বার ভোটের সুযোগ

ইভিএম নিয়ে ওঠা অভিযোগ বন্ধে নয়া পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের৷

Any mechanical fault voters may gave vote second time
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 24, 2019 9:01 am
  • Updated:April 17, 2019 4:18 pm

নব্যেন্দু হাজরা: একবারেই শেষ নয়। নিজের ভোট ঠিক জায়গায় না পড়লে দ্বিতীয়বারও ইভিএমের বোতাম টিপতে পারবেন ভোটাররা। সৌজন্য, ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল। সংক্ষেপে ভিভিপ্যাট। যে শব্দটি এবারের ভোটের হাওয়ায় হাওয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন চায়, ভোট হোক সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অবাধ। নাগরিকরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়ে সরকার গড়ুন। এবং সেক্ষেত্রে ভোটারের ভুলবশত বা প্রাযুক্তিক ত্রুটিতে ভোটটি পছন্দের প্রার্থীর ঝুলিতে না পড়লে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে ভিভিপ্যাট প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। যে যন্ত্রও ভোটারকে দেখিয়ে দেবে, তাঁর ভোটটি ঠিক কোথায় পড়ল। কীভাবে?
ইভিএমের পাশেই লাগানো থাকবে ভিভিপ্যাট যন্ত্রটি। ভোটার ইভিএমে কোনও প্রার্থীকে ভোট দেওয়ামাত্র ভিভিপ্যাটে সেই প্রার্থীর নাম ও চিহ্নের পাশে আওয়াজ হবে। আলো জ্বলবে। বেরিয়ে আসবে একটি কাগজের স্লিপ, তাতে উল্লেখ করা থাকবে ভোটটি কোন প্রার্থীর ঝুলিতে পড়ল। সাত সেকেন্ড পর স্লিপ একটি বাক্সে জমা হয়ে যাবে। ওই সাত সেকেন্ডের মধ্যে ভোটার স্লিপ দেখে নিশ্চিত হয়ে যেতে পারবেন, তাঁর ভোট পছন্দের প্রার্থী পেলেন কিনা। অর্থাৎ ভোটদানের সঙ্গে সঙ্গে হাতেগরম যাচাই প্রক্রিয়া। এবং যাচাইয়ে গরমিল বেরোলে শোধরানোর সুযোগও করে দিচ্ছে কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে টেস্ট ভোট।

[রাহুল গান্ধীকে বিষ পান করার পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক]

কমিশন সূত্রে খবর, যদি কোনও ভোটার ভোট দেওয়ার পর মনে করেন, তিনি যাঁকে ভোট দিয়েছেন, তাঁর নামে ভোট পড়েনি। ভোট অন্য প্রার্থীর নামে পড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি ফের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে দ্বিতীয়বার তাঁকে ভোট দিতে হবে প্রিসাইডিং অফিসার এবং ভোটকর্মীদের উপস্থিতিতে। এই প্রক্রিয়াকেই নির্বাচন কমিশনের কথায় বলা হচ্ছে টেস্ট ভোট। কিন্তু ভোটকর্মীর উপস্থিতিতেও যদি প্রমাণ হয়, যে প্রার্থীকে তিনি ভোট দিচ্ছেন, সেখানে ভোট পড়ছে না, তখন ওই কেন্দ্রের ভোট তখনকার মতো বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হবে ভিভিপ্যাট এবং ইভিএমে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে। কমিশনের এক আধিকারিক জানান, প্রতিবারই ভোটের পর নানা অভিযোগ উঠতে থাকে ইভিএম নিয়ে। অভিযোগ ওঠে, ভোটাররা যাকে ভোট দিয়েছেন, সেখানে ভোট না পড়ে অন্যত্র তা পড়েছে। এবার সেই অভিযোগ যাতে না ওঠে, সেকারণেই নয়া এই পদ্ধতি। ওই আধিকারিকের কথায়, ধরা যাক একজন ভোটার ভোট দিয়েছেন এক্সকে। কিন্তু তিনি ভোটদানের পর দেখেছেন সেই ভোট এক্স-এ পড়েনি। আলোও জ্বলেনি। জ্বলেছে ওয়াই-য়ের পাশে আলো। স্লিপেও তাই দেখাচ্ছে। তখনই তিনি দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার জন্য দাবি করতে পারবেন। অবশ্য প্রিসাইডিং অফিসারের উপস্থিতিতে সেই ভোট দেবেন তিনি। ওই অফিসার যদি দেখেন সত্যিই তেমনটা ঘটছে, তবে ভোটের প্রক্রিয়া তখনকার মতো তিনি বন্ধ রাখতে পারবেন। পরে নতুন মেশিনে ফের তা শুরু করতে হবে। এদিকে যদি দেখা যায়, ভোট ভুল হওয়ার বিষয়টা ভোটারের চোখের ভুল ছিল, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে তাঁর।

Advertisement

[মোদিতেই ভরসা বিজেপির, দেশজুড়ে ১৬২টি সভা প্রধানমন্ত্রীর]

কিন্তু ভোট একবার পড়ে গেলে তা তো বাতিল হয় না। তবে বাতিল হবে কি করে? কমিশনের ওই আধিকারিক জানান, প্রতিটি ভোট পড়ার সাত সেকেন্ডের মাথায় ভিভিপ্যাট থেকে একটা স্লিপ বাক্সে পড়বে। কাউন্টিংয়ে ওই স্লিপও মিলিয়ে দেখা হবে। দ্বিতীয় ভোটদানের সময় যেহেতু ভোটারের পাশে কর্তব্যরত ভোটকর্মী উপস্থিত থাকবেন, তিনি দেখতে পাবেন কাকে ওই ভোটার ভোট দিচ্ছেন। ফলে গণণার সময় সেই দলের ওই ভোটটি কীভাবে বাতিল হবে, তার নিজস্ব পদ্ধতি কমিশনের রয়েছে। তা নিয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও চলছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ