Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাংলা ও অসমে নাশকতার ছক কষছে জেএমবি, চার্জশিটে বলল NIA

খাগড়াগড় বিস্ফোরণের শিকড় ছড়িয়ে অসমেও। 

Assam: NIA files chargesheet against five JMB militants
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 25, 2020 11:03 am
  • Updated:January 25, 2020 11:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিতাল ডেস্ক: নাশকতার অভিযোগে অসমের বরপেটায় গ্রেপ্তার পাঁচ জেএমবি জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। শুক্রবার, অসমের গুয়াহাটির বিশেষ NIA আদালতে অভিযোগপত্র জমা করে সংস্থাটি। 

NIA’র দাবি, বাংলা ও অসমে ‘স্লিপার সেল’ গড়ে নাশকতার ছক কষছিল ধৃত জঙ্গিরা।একসঙ্গে কাজ করছিল বাংলা ও অসমের শাখা সংগঠন। অসমে বসেই পরবর্তী হামলার ‘ব্লু-প্রিন্ট’ তৈরি করছিল তারা। রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার নামে জেহাদ উসকে এই দুই রাজ্যে হামলার ছক রয়েছে বাংলাদেশের এই জঙ্গিগোষ্ঠীটির। তদন্তকারী সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ধৃতদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে।                

Advertisement

NIA’র তরফে জানানো হয়েছে, হাফিজুর রহমান, ইয়াকুব আলি, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মহম্মদ হাফিজ ওরফে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে UAPA আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। অবৈধভাবে অস্ত্র জোগাড় করে নাশকতার ছক কষছিল এই জঙ্গিরা। অসমের বরপেটা জেলার কুখ্যাত জঙ্গিনেতা ও খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী সাহানুর আলমই এদের দলের সদস্য পদে নিযুক্ত করে। উল্লেখ্য, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছে সাহানুর। 

Advertisement

২০১৯ সালের ৩০ জুলাই গোপন খবরের ভিত্তিতে বরপেটায় রহমান নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়িতে অভিযান চালায় অসম পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়। তাকে জেরা করেই এই পাঁচ জেএমবি জঙ্গির কথা জানতে পারে। মামলার গুরুত্ব বুঝে ওই বছর ডিসেম্বর মাসেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় NIA’র হাতে।       

[আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের একাংশ, মৃত ১]                     

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন দুপুরে বিস্ফোরণের শব্দে আচমকাই কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। শুরু হয় তদন্ত। সামনে আসে জঙ্গিযোগ। জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি যে এরাজ্যে তাদের জাল বিস্তার করেছে তা জানা যায়। প্রথমে জেলা পুলিশ এবং সিআইডির উপরেই ছিল দায়িত্বভার। তবে ঘটনার আটদিনের মাথায় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। গ্রেপ্তার করা হয় ৩১ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, অশান্তি তৈরির চেষ্টা-সহ বিস্ফোরক আইন, অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ