সুব্রত বিশ্বাস: পুরাণ মতে রামচন্দ্রের নামের সঙ্গে জড়িত তীর্থভূমি অযোধ্যা, সীতামারি, বারাণসী, নাসিক, রামেশ্বরে একযোগে ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে রেল। জন্মস্থান থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের মেলবন্ধন ঘটানো হচ্ছে এই প্যাকেজে। ১৪ নভেম্বর দিল্লির সফদরগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করবে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস। ৮০০ আসন বিশিষ্ট এই ট্রেনটি রামনামে জড়িত তীর্থভূমিগুলি ছুঁয়ে ১৬দিন পর পৌঁছবে রামেশ্বর। পুরাণ মতে, এখান থেকেই সেতুবন্ধন হয়েছিল লঙ্কার উদ্দেশ্য। এখানেই তীর্থযাত্রা শেষ নয়। রেল যেহেতু শ্রীলঙ্কায় পৌঁছতে পারবে না তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের শ্রীলঙ্কা যাত্রার জন্য বিমান ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে আইআরসিটিসি। দুই ভাগের এই যাত্রায় খাওয়া-দাওয়া, থাকা ও সাইটসিন দর্শন সবই এই প্যাকেজের মধ্যে থাকছে।
Retracing the Epic Journey of Lord Rama: Indian Railways to introduce a special tourist train ‘Shri Ramayana Express’ which will cover all the places from Ayodhya to Colombo via Rameshwaram, on the Ramayana circuit.https://t.co/WR9HIYl0ae pic.twitter.com/jcGKeiBz12
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) July 10, 2018
[কমছে যাত্রী সংখ্যা, বন্ধের মুখে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস]
ট্রেনযাত্রা ও বিমানযাত্রা দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থা। রামায়ণ এক্সপ্রেস ১৪ নভেম্বর দিল্লির সফদরগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করে যাবে অযোধ্যা, হনুমানগড়ি, রামকোট ও কনক ভবন মন্দিরে। সেখান থেকে নন্দীগ্রাম, সীতামারি, জনকপুর, বারাণসী, প্রয়াগ, শ্রীরংগবীরপুর, নাসিক, হাম্পি হয়ে রামেশ্বর। এজন্য প্যাকেজ ১৫ হাজার ১২০ টাকা।
[‘মরণাপন্ন’ টাটা ন্যানো, দশ বছরেই নাভিশ্বাস উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা গাড়ির!]
দ্বিতীয় পর্যায়ে রামায়ণের যুদ্ধক্ষেত্র শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ। তবে দু’টি ভ্রমণ একই রামনাম স্মরণে হলেও ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা। খরচও ভিন্ন। ভারত থেকে বিমানযোগে শ্রীলঙ্কা। সেখানে রামের নামের সঙ্গে জড়িত ক্যান্ডি, নুয়ারা, এলিয়া, কলম্বো ও নেগোম্বো ঘোরানোর ব্যবস্থা থাকছে একই প্যাকেজে। এই প্যাকেজে জনপ্রতি খরচ পড়বে ৪৭ হাজার ৬০০ টাকা।
[রেললাইন না সমুদ্র! মুম্বইয়ের স্টেশনে নৌকায় চেপে যাত্রীদের উদ্ধার নৌসেনার]
আইআরসিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকে নিয়ে পৌরাণিক কাহিনিতে নানা স্থান হিন্দুদের তীর্থক্ষেত্র বলে পরিচিত। সেই সব দর্শনীয় স্থানকে একই সূত্রে বেঁধে ভ্রমণের এই প্যাকেজ করেছে আইআরসিটিসি। কাহিনির প্রধান উৎস যেহেতু মহাকাব্য রামায়ণে রয়েছে তাই এই ট্রেনের নামকরণ হয়েছে ‘শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস’। ট্রেনের এই নামের সঙ্গে পরিবেশের সামঞ্জস্য রাখতে ট্রেনটির দেওয়ালে রামের নানা কাহিনির ভিনাইল র্যাপিং থাকবে। পুরো প্যাকেজটিতে যাতে সাধারণ তীর্থযাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের সুযোগ পান সেজন্য তদারকির পুরো দায়িত্বে থাকবেন আইআরসিটিসির নিজস্ব ইন্সপেক্টর। তীর্থক্ষেত্রের নানা কাহিনি তুলে ধরবেন গাইডরা। পুরাণের রামচন্দ্রকে ভালভাবে জানার পাশাপাশি ভ্রমণের বিশেষ সুযোগ করে দিতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে রেল।