সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনার সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। শনিবার তাঁর নামে তিন’টি এফআইআরও দায়ের হয় থানায়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের পক্ষ থেকেও দেখানো হয়েছিল বিক্ষোভ। এমনকী তাঁর জিভ কেটে আনতে পারলে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন জনৈক নেতা। এবার আজম খানের বিরুদ্ধে মুখ খুলল শিব সেনাও। তাদের বক্তব্য, এই সপা নেতা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। অবিলম্বে তাঁকে আটক করে শাস্তি দেওয়া উচিত।
[মোদির চেয়ে মনমোহনই বিদেশে গিয়েছেন বেশি, আজব সাফাই অমিত শাহর]
এই প্রসঙ্গে শিব সেনা নেতা মনীশা কায়নাড়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আজম খান মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। দেশের বিরুদ্ধে, ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যে অভিযোগগুলি তিনি করেছেন সেগুলির কোনও মানেই হয় না। আজম খানের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলি একদম সঠিক। ওঁকে আটক করে শাস্তি দেওয়া উচিত।’ যদিও চাপের মুখে পড়ে আজম খান জানিয়েছিলেন, ‘সেনাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেননি। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমার জন্য সেনার আর্দশ বা নীতি কেন নষ্ট হবে? আমি কেউ নই। প্রধানমন্ত্রী যখন পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন তখনই সেনার আদর্শ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।’
[সূর্যমুখীর খেতে ‘সেলফি পয়েন্ট’! কৃষকের রোজগার চমকে দেওয়ার মতো]
পুলিশ জানিয়েছে, আজম খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সমস্তটা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এদিকে, আকাশ সাক্সেনা নামে এক অভিযোগকারী বলেন, ‘ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার জন্যই আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। খুবই ঘৃণ্য কাজ করেছেন তিনি। আজম খানের অবিলম্বে সেনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত।’ এর আগে এক জনসভায় গিয়ে আজম খান ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেন, ‘সশস্ত্র মহিলারা ভারতীয় সেনার যৌনাঙ্গ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এর অর্থ হল তাদের জওয়ানদের শরীরের ওই অঙ্গটি নিয়েই অসুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে কড়া বার্তাই দিতে চেয়েছে তারা। এই ঘটনা গোটা বিশ্বের সামনে আমাদের আসল রূপটি তুলে ধরেছে। গোটা দেশের এজন্য লজ্জা হওয়া উচিত।’ এর পরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।