Advertisement
Advertisement
Teesta Setalvad

গুজরাট দাঙ্গা মামলা: স্থগিত শুনানি, জামিন অধরাই সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের

বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের মামলার শুনানি হবে।

Bail hearing for Teesta Setalvad in Gujarat riots case on Thursday। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 27, 2022 9:07 am
  • Updated:July 27, 2022 9:07 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে (Teesta Setalvad) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গত মাসে। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদনের রায় ঘোষণা দু’দিনের জন্য স্থগিত রাখল আহমেদাবাদের দায়রা আদালত। ফের ওই মামলার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। তিস্তার পাশাপাশি গুজরাট পুলিশের প্রাক্তন ডিজি আর বি শ্রীকুমারেরও জামিনের আবেদনের শুনানি হবে ওইদিন।

গত জুনেই সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট দাঙ্গা (Gujarat Riots) মামলায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত করার আরজি খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গেই যারা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ‘উসকানি’ দিচ্ছিল তাদের ভর্ৎসনাও করে শীর্ষ আদালত। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ”আমি মন দিয়ে রায়ের কপি পড়েছি। সেখানে পরিষ্কার তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উনি যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি চালাতেন সেটি পুলিশকে ভুয়ো তথ্য সরবরাহ করেছিল।” এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত সমাজকর্মীকে। সেই থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোনিয়াকে ৬ ঘণ্টা জেরা করেও সন্তুষ্ট নয় ইডি, ফের বুধবার দিতে হবে হাজিরা]

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের শুনানির দিকেই নজর ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু ওইদিন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক ডি ডি ঠক্কর জানিয়ে দেন, তিস্তার জামিনের আবেদন সংক্রান্ত নির্দেশ যেহেতু এখনও তৈরি হয়নি, তাই আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখা হচ্ছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, তিস্তার বিরুদ্ধে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছিল তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পর রাজ্যের বিজেপি সরকারকে ফেলতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ধৃত সমাজকর্মীকে। শুধু টাকাই নয়, আরও নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় গুজরাটের বিজেপি সরকারকে আসনচ্যুত করতে যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ করেছিল বিরোধীরা, তারই একটা অংশ ছিলেন তিস্তা, অভিযোগ এমনই।

তিস্তার বিরুদ্ধে আনা এহেন অভিযোগ ওঠার পরই বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, আহমেদ প্যাটেলের নাম উঠে এলেও তিনি একটি নাম মাত্র। এর পিছনে আসল কাণ্ডারি ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীই। যদিও এমন দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

[আরও পড়ুন: বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি: এখনই হস্তক্ষেপ নয়, জল মাপছে কেন্দ্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ