Advertisement
Advertisement

Breaking News

জামাতকে নিষিদ্ধ করার ফল ভুগতে হবে, হুঁশিয়ারির সুর মুফতির গলায়

সরাসরি জামাতের পাশে দাঁড়ালেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি।

Ban on Jamaat will be vengeance:Mufti
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 2, 2019 9:47 pm
  • Updated:March 3, 2019 1:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:   সদ্য নিষিদ্ধ হওয়া জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির পাশে দাঁড়ালেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। একেবারে হুঁশিয়ারির সুরেই তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফল ভুগতে হতে পারে। প্রতিশোধ নিতে কাশ্মীর উপত্যকায় যে কোনওরকম ঘটনা ঘটাতে পারে জামাত। শনিবার পিডিপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুকি হয়ে একথা বলেন মুফতি।

[উত্তেজনা কাটতেই ফের চালু হচ্ছে সমঝোতা এক্সপ্রেস]

পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকার সুরক্ষা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। একে একে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। জামাত-ই-ইসলামির জম্মু-কাশ্মীর শাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসবের পর কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরার বদলে অশান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। তাঁর কথায়, ‘জামাত-ই-ইসলামি সে অর্থে জঙ্গি সংগঠন নয়। এর নির্দিষ্ট সামাজিক এবং রাজনৈতিক আদর্শ আছে। কোনও আদর্শকে এভাবে দমন করা নিন্দনীয়। জামাতের তরুণ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে কোনও লাভ হবে না। বরং ওদের প্রতিশোধস্পৃহা আরও বেড়ে যাবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’ জামাতকে দরিদ্রদের বন্ধু সংস্থার তকমা দিয়ে সরাসরি তাদের পাশেই দাঁড়ালেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে মুফতির আরও মন্তব্য, ‘আপনাদের সঙ্গে আরএসএস, শিবসেনা, জনসংঘ – এরা আছে। যারা কেবলমাত্র মাংসাশী সন্দেহে গণপ্রহার করেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আর জামাত তো উপত্যকায় গরিব মানুষদের সাহায্য করে। স্কুল তৈরি করে ছোট বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়। আর তাদেরই আপনারা ধরে ধরে জেলে পুরে দিতে চাইছেন। এর ফল কিন্তু ভয়ঙ্কর হবে। দয়া করে জম্মু-কাশ্মীরকে জেলে পরিণত করবেন না।’

Advertisement

[ভারতের মিরাজ না পাকিস্তানের F-16, আকাশ যুদ্ধে কে বেশী শক্তিধর?]

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকার ভেঙেছে একাধিক কারণে। আপাতত সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি। জোট ভাঙার নেপথ্যে একাধিক কারণের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও উপত্যকায় একচুল শান্তি ফেরাতে পারেনি বিজেপি। বিশেষত জনসংযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতারা। বরং সাধারণ নাগরিকের ভরসার জায়গা আরও ভঙ্গুর হয়েছে। এসব নিয়ে পিডিপির সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে যথেষ্ট তলানিতে। সুযোগ পেলেই পিডিপি কেন্দ্রের যে কোনও সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপের সমালোচনা করে। পুলওয়ামা হামলার পরও সেই বিদ্বেষ আরও তীব্র হয়েছে। এমনকী বায়ুসেনার অভিযানের পরও যখন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র, তখনও মতৈক্যের সুর কেটে দিয়েছিলেন মুফতি। এরপর সরাসরি জামাতের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর এই বক্তব্য স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। মুফতির কথায়, ‘কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি জোট থাকতে আমরা বিজেপিকে যা খুশি তাই করতে দিইনি। কিন্তু এবার আর তা হচ্ছে না। একজন কাশ্মীরি মার খেলে, বাকিরা আনন্দ পাচ্ছেন।’ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীর উপত্যকায়  জামাতের সমর্থন পিডিপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একেবারে লোকসভা নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ভোট ব্যাংকে খরা দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় পিডিপি প্রধানের এমন হুঁশিয়ারি।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ