Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতের মিরাজ না পাকিস্তানের F-16, আকাশ যুদ্ধে কে বেশী শক্তিধর?

এক ঝলকে দেখে নিন৷

The function of Mirage-2000 and F-16 Falcon
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 2, 2019 6:01 pm
  • Updated:March 2, 2019 11:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর আত্মঘাতী জঙ্গি হানার পর, প্রত্যাঘাতের আগুনে ফুটছিল গোটা দেশ৷ ‘ভাইদের রক্ত বিফলে যেতে দেব না’ এই প্রতিজ্ঞা নিয়েছিল সেনা৷ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ আর এই সন্ত্রাসদমন অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান৷ ভোররাতে আলো-আঁধারি পরিবেশে অতর্কিত হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় জইশ-লস্কর-হিজবুলের তিনটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির৷ সন্ত্রাসবাদীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় এটা নতুন ভারত, যাদের শত্রু শিবিরের অন্দরে ঢুকেও মারার ক্ষমতা রয়েছে৷ কিন্তু এরপরই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে পাকিস্তান৷ কারণ, সন্ত্রাসবাদ যাদের মূলভিত্তি এবং জঙ্গিরা যাদের ভবিষ্যৎ, তাদেরই খতম করার চেষ্টা করেছে ভারত৷ ফলে পরের দিনই ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পরে পাকিস্তানের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬৷ যদিও সাফল্যের সঙ্গে তা প্রতিহত করে ভারতীয় বায়ুসেনা৷

[সীমান্তে উত্তেজনার আবহে নিরাপত্তা বাড়ল বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীর প্রধানের]

Advertisement

এবার দেখা যাক মাঝ আকাশের যুদ্ধে কতটা পারদর্শী ভারতের মিরাজ-২০০০ ও পাকিস্তানের এফ-১৬৷

Advertisement

গতিবেগ: ভারতীয় বায়ুসেনার অস্ত্রাগারে থাকা মিরাজ ২০০০ হল মূলত এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট চতুর্থ জেনারেশনের একটি ফাইটার জেট৷ ফ্রান্সের সংস্থা দাসল্ট অ্যাভিয়েশন এটি তৈরি করেছিল৷ এই যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৩৩৬ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১১১০ কিলোমিটার৷ পাশাপাশি, পাকিস্তানের এফ-১৬ হল এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট একটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান৷ মার্কিন সংস্থা লকহেড মার্টিন এটি তৈরি করেছিল৷ এবং বিশেষ কিছু শর্তসাপেক্ষে তা বিক্রি করা হয় পাকিস্তানের কাছে৷ তবে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪১৪ কিলোমিটার। মিরাজের তুলনায় সামান্য বেশি৷

[কাশ্মীরে ধৃত নিষিদ্ধ জামাত-ই-ইসলামির তিন সদস্য, বাজেয়াপ্ত ৫২ কোটি টাকা ]

হাতিয়ার: ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হল মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান৷ কারগিল যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল এই ফাইটার জেটটি৷ পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম এই বিমানে রয়েছে দুটি ৩০ মিমির ডেফা ৫৫৪ ক্যানন রিভলভার৷ যা ‘এয়ার টু এয়ার’ হামলা চালাতে সাহায্য করে৷ ৬৮ মিমির রকেট৷ ‘এয়ার টু এয়ার’ ছাড়াও ‘এয়ার টু সারফেস’ আঘাত করতেও সক্ষম এই বিমান৷ অর্থাৎ অব্যর্থ নিশানায় শত্রুকে খতম করতে সক্ষম মিরাজ-২০০০৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিরাজের তুলনায় অনেক বেশি অস্ত্রবহনে সক্ষম এফ-১৬৷ এতে রয়েছে অত্যাধুনিক এম৬১ ভালকান ক্যানন রিভলভার৷ যা মিনিটে ছ’হাজার গুলি ছুঁড়তে সক্ষম৷ এছাড়া অত্যাধুনিক ‘এয়ার টু এয়ার’ ও ‘এয়ার টু সারফেস’ ক্ষেপনাস্ত্র বহনে সক্ষম পাক সেনার এই যুদ্ধবিমান৷ একসঙ্গে অনেক সংখ্যক মিসাইল, বোমা ও ইলেক্ট্রনিক্স জ্যামার বহনে সক্ষম এফ-১৬৷

পাল্লা: সর্বাধিক ১৮৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে অব্যর্থ নিশানা করতে পারে মিরাজ ২০০০৷ তুলনায় ৯০৭ কেজি ওজনের দুটি বোমাকে সর্বাধিক ১৩৭০ কিলোমিটার দূরে ছুঁড়তে পারে এফ-১৬৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ