Advertisement
Advertisement

সহায়সম্বলহীন হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাপুজির নাতি

বাপুজির সঙ্গে যাঁর ছবি দেশের জাতীয় সম্পদ প্রায়, সকলের অগোচরেই তিনি এখন মৃত্যপথযাত্রী৷

Bapu’s grandson battles death in  in a charitable hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 6, 2016 5:02 pm
  • Updated:November 6, 2016 5:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাপুজির লাঠি হাতে করে আগে আগে দৌড়চ্ছে একরত্তি ছেলেটি৷ বিখ্যাত ডান্ডি অভিযানের এ ছবি প্রায় সকল ভারতবাসীরই চোখে ভাসছে৷ কিন্তু সেদিনের ছোট ছেলেটির এখন যা অবস্থা, তা চোখে দেখা যায় না প্রায়৷ তিনি গান্ধীজির নাতি কানু রামদাস গান্ধী৷ বর্তমানে প্রায় সহায়সম্বলহীন নবতিপর এই বৃদ্ধের চিকিৎসা চলছে এক মন্দিরের অর্থাসাহায্যে৷

এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গেই পাঞ্জা লড়ছেন গান্ধীজির উত্তরসূরি৷ সঞ্চিত অর্থ বলতে প্রায় আর কিছুই অবশিষ্ট নেই৷ সুরাতের এক দাতব্য চিকিসালয়ে ভর্তি তিনি৷  পরিজন বলতেও বিশেষ কেউ নেই৷ নেই কোনও অনুরাগী বা গুণগ্রাহীর ভিড়ও৷ স্ত্রীও পেরিয়েছেন নব্বইয়ের কোঠা৷ তিনিও অসুস্থ ও মন্দির কর্তৃপক্ষর দেখভালেই দিন গুজরান হচ্ছে তাঁর৷ পাশে আছেন বলতে পুরনো বন্ধু ধীমন্ত বাধিয়া৷ তিনিই সাধ্যমতো অর্থসাহায্য করেছেন৷ এছাড়া এক দিদি আছে কানু রামদাসের৷ তিনিও এসে দেখা করে যান৷ চিকিৎসার ব্যয়ও বহন করতে চেয়েছিলেন৷ যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষ তা নিতে রাজি হয়নি৷ জাতির জনকের ঋণ তারা এভাবেই শোধ করতে চায় বলেই জানিয়েছে৷

Advertisement

তবে এরকম জীবন ছিল না কানু রামদাসের৷ পেশায় তিনি ছিলেন নাসার বিজ্ঞানী৷ স্ত্রী ছিলেন ভিনদেশেরই এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরেও চুটিয়ে কাজ করেছেন এককালে৷ তবে শেষমেশ প্রবাসী জীবন ছেড়ে দু’জনেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন৷ দেশে তাঁদের পাকাপাকি থাকার কোনও জায়গা ছিল না৷ ঘুরে ঘুরে এখানে ওখানে থাকতেন৷ সুরাতে আসার পর সে ভবঘুরে জীবনে ইতি পড়ে৷ পরপর স্ট্রোক হওয়ার কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যান তিনি৷ স্ত্রীও বার্ধক্যজনিত অসুখে কাবু৷ তারপর তাঁর দেখভালের দায়িত্ব নেয় সুরাতের রাধাকৃষ্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষ৷

দেশে পাকাপাকি ভাবে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন কানু রামদাস৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন৷ যদিও গুজরাত সরকারের তরফে এখনও কোনও সাহায্য পৌঁছয়নি বলেই জানাচ্ছেন বন্ধু বাধিয়া৷ এমনকী সবরমতী আশ্রম কর্তৃপক্ষর উপরও বেশ ক্ষুব্ধ তিনি৷ জানাচ্ছেন, গান্ধীজির নাম করে এত টাকা খরচ করা হয়, আর তাঁর বংশধরের চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না৷

বর্তমানে কোমায় আছন্ন গান্ধীজির এই বংশধর৷ লাইফ সাপোর্টে টিমটিম করে জ্বলছে জীবনদীপ৷ বাপুজির সঙ্গে যাঁর ছবি দেশের জাতীয় সম্পদ প্রায়, সকলের অগোচরেই তিনি এখন মৃত্যপথযাত্রী৷

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement