Advertisement
Advertisement

আর্থিক সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে যৌনকর্মীর তকমা জুটল এই ছাত্রীর

বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন ২৫ বছরের জুহি।

'Beg or be a prostitute', Chennai student trolled for crowdfunding
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 22, 2017 6:47 am
  • Updated:June 22, 2017 6:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন প্রতিভাবান ছাত্রী যদি তাঁর স্বপপূরণের জন্য সাহায্য চান, তাহলে তাঁকে কী বলে দমিয়ে দেওয়া যায়? খুব সহজ, তাঁকে ঠগ বা যৌনকর্মী বলে!

ঠিক এমনটাই ঘটল চেন্নাইয়ের বছর ২৫-এর এক ছাত্রীর সঙ্গে। যিনি তাঁর উচ্চশিক্ষার জন্য অনলাইনে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অর্থ সাহায্য চাওয়াকে পোশাকি ভাষায় বলে ক্রাউড ফান্ডিং। জুহি শর্মা নামের ওই ছাত্রীও সেই পথেই হেঁটেছিলেন। কিন্তু ইন্টারনেট ইউজাররা যে এভাবে তাঁর গায়ে যৌনকর্মীর তকমা সেঁটে দেবেন, ভাবতেও পারেননি জুহি।

Advertisement

[মহিলার নগ্ন ছবি শেয়ার করার অভিযোগে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মামলা]

কিন্তু ঠিক কী হয়েছে তাঁর সঙ্গে?

Advertisement

জুহি একজন উঠতি সিনেমাটোগ্রাফার। বেশ কয়েকটি বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজও করেছেন তিনি। ভবিষ্যতে নিজে সিনেমা বানাতে চান। দেশের মহিলাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা, শিশুদের শিক্ষা ও খাদ্যের অভাব, সমাজ সচেতনতা নিয়ে সিনেমা বানাতে জুহি সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন কলেজে অ্যাডমিশনের আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়ে যায়। কিন্তু এবার এসে পড়ে টাকার সমস্যা। তিন বছরের মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য প্রয়োজন মোটা অঙ্কের। স্কলারশিপ পেলেও পড়ার সব খরচ জুহি জোগাড় করতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কথা তুলে ধরেন তিনি।

আর এরপর যা ঘটল, জুহি যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছিলেন না। কয়েকদিনের মধ্যেই জুহির আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে ওঠে। তবে ইন্টারনেট ইউজাররা যে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, এমনটা নয়। বরং এই কয়েক দিনে জুহি হয়ে উঠেছেন ঠাট্টার পাত্র, যাকে বলে ‘ট্রোল’। কেউ তাঁকে লিখেছেন, ‘এ হল ভিক্ষা করার শহুরে কায়দা।’ কেউ আবার আরও এক কাঠি উপরে গিয়ে লিখেছেন, ‘নিউ ইয়র্কে যাওয়ার জন্য এভাবে ভিক্ষা চাওয়ার থেকে পতিতাবৃত্তি করা ভাল।’ জুহি বলছেন, ‘দেখে কষ্ট হচ্ছে যে আমার চেনা-পরিচিত বন্ধুরাও আমাকে নিয়ে নোংরা কথা বলছে।’

Juhi

[বেঁচে থাকতে চাই না, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন রাজীব হত্যায় সাজাপ্রাপ্তর]

তবে ইন্টারনেট ইউজারদের সবাই যে জুহির বিরোধিতা করেছেন এমনটা নয়। বেশ কয়েকজন তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ও তাঁর উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্যও করেছেন। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন জুহি। বলেছেন, ‘তবে আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে কয়েকজন সত্যি আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আমার জন্য চাঁদা তুলেছেন।’ বিদেশে পড়তে যাওয়ার খরচ জোগাড় হয়ে গিয়েছে একটি ওয়েবসাইটের দৌলতে। খুশি জুহি বলছেন, ভারতে মহিলাদের উপর প্রতিদিনই যে ধরনের অত্যাচার হয়, সেই বিষয়ের উপরও দ্রুতই তিনি সিনেমা তৈরি করবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ