Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘মানিক সরকারকে শ্রদ্ধা করি’, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পর প্রতিক্রিয়া বিপ্লব দেবের

একনজরে শপথগ্রহণের সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Biplab Deb Takes Oath As Tripura Chief Minister, PM Modi In Attendance; top developments
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 9, 2018 3:53 pm
  • Updated:September 13, 2019 1:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর বিপ্লব দেবের প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘আমি ত্রিপুরার মানুষকে ভালবাসি। এমনকী, আমি কমিউনিস্টদের ও মানিক সরকারকেও ভালবাসি। কিন্তু আমার খারাপ লাগে যখন এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও রাজ্যের সম্পদকে কাজে লাগাতে তাঁরা ব্যর্থ হন। আমরা শূন্য থেকে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু করব।’

[রাজ্যসভায় শান্তনু সেন, আবির বিশ্বাসকে প্রার্থী করে চমক মমতার]

শুক্রবার রাজ্যের দশম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিপ্লব দেব। নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার-সহ বাম নেতাদের একাংশ। এদিনের ‘ইভেন্ট’কে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক সমাবেশের আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর জোশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গুজরাট থেকে উড়িয়ে আনা হয় মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, মধ্যপ্রদেশ থেকে আসেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং। উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়ালও। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে মা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে যান অমিত শাহ। এদিনের ভাষণে মোদি বলেন, ‘ভারতে সবসমই প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে কয়েকটি নির্বাচন। তার মধ্যেই থাকবে ত্রিপুরার এবছরের বিধানসভা নির্বাচন। মানুষ এই ফলাফল নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।’

Advertisement

১৯৬৯-এ ত্রিপুরার গোমতী জেলার এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন বিপ্লব দেব। উদয়পুর কলেজ থেকে ১৯৯৯-এ স্নাতক পাশ করে দিল্লিতে গিয়ে আরএসএসে যোগ দেন। সেখানে গত ১৬ বছর ধরে তিনি কাজ করেছেন। প্রখ্যাত হিন্দু নেতা গোবিন্দ আচার্য ও কৃষ্ণগোপাল তাঁর রাজনৈতিক গুরু। ২ বছর আগে ত্রিপুরায় ফিরে তৎকালীন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির প্রধান সুধীন্দ্র দাসগুপ্তকে সরিয়ে তিনি দায়িত্ব পান। বিপ্লব দেবই দেশের কোনও রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্য নেতা। গতবছর এক দলীয় সমীক্ষায় বিজেপি টের পায়, ত্রিপুরাতে মানিক সরকারের চেয়েও বিল্পব দেবের জনপ্রিয়তা বেশি। শূন্য থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক রাজ্যে বিজেপিকে প্রধান রাজনৈতিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে তিনি দেখিয়ে দিলেন, তাঁকে শীর্ষ নেতা হিসাবে বেছে নিয়ে কোনও ভুল করেনি পার্টি। তিনিই ত্রিপুরাতে পরিবর্তনের ডাক দেন। ২০১৩-তে একটিও ভোট না পাওয়া বিজেপি এবছর বিধানসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন পাওয়ার পিছনে বিপ্লব দেবই কুশীলব।

Advertisement

[রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে কংগ্রেসের বাজি মনু সিংভি, সমর্থনের ইঙ্গিত তৃণমূলের]

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ