Advertisement
Advertisement

Breaking News

করের টাকা চুরি করেছেন সনিয়া-রাহুল, অভিযোগ বিজেপির

হেরাল্ড মামলায় অস্বস্তিতে গান্ধী পরিবার।

BJP accused Rahul and Sonia Gandhi of tax theft

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 11, 2018 11:01 am
  • Updated:September 11, 2018 11:01 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অস্বস্তি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর। দিল্লি হাই কোর্টের রায়ের পর নতুন করে এই মামলায় বিপাকে পড়লেন কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে সনিয়া-রাহুলদের আয়কর তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দুই সাংসদ আবেদন করেছিলেন। গতকাল সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। রাহুল-সনিয়াদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য পুনরায় খতিয়ে দেখতে আপাতত আর কোনও বাধা নেই আয়কর দপ্তরের। আদালতের এই রায়ের পরই গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

[বনধের দিনই বড় পদক্ষেপ, পেট্রোপণ্যের দাম কমাল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার]

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর দাবি, রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধী দু’জনেই কর-চোর । সনিয়ার দশ জনপথের বাড়িটি আসলে ‘দুর্নীতির কেন্দ্রস্থল’। সম্বিত পাত্রের অভিযোগ, “কংগ্রেস আগে থেকেই জানত কর-ফাঁকি মামলায় বিপদে পড়তে চলেছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা । আর তাই নজর ঘোরাতে বনধের নাটক করেছে তাঁরা। কংগ্রেসের বনধ ডাকার ফলেই প্রমাণ হয়ে গেল গান্ধী পরিবার ট্যাক্স-চুরির সঙ্গে যুক্তি এবং গোটা দেশকে তাঁরা মিথ্যে কথা বলেছে।” বিজেপি মুখপাত্র আরও বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং এবং তাঁর আমলের অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের একটাই কাজ ছিল, মা এবং ছেলেকে রক্ষা করা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে কেন রাহুল-সনিয়াকে তাঁরা কর ফাঁকি দিতে সাহায্য করলেন?

Advertisement

[জ্বালানি জ্বালা মেটাতে পথে রাহুল, ‘বনধের বন্ধক’ জনতা    ]

ন্যাশনাল হেরাল্ড তথা ইয়ং ইন্ডিয়া মামলা বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেস নেতৃত্বের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়ং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে সংস্থাটি কংগ্রেস মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সেই সংস্থাটির ডিরেক্টর । সংস্থাটি ২০১১-১২ অর্থবর্ষে মোট রোজগারের তুলনায় অনেক কম রোজগার দেখিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আয়কর দপ্তর সেসময়ের সংস্থাটির আয়ব্যয়ের হিসেব পুনরায় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়া নামের ওই সংস্থাটি অন্তত ৫ হাজার কোটির সম্পত্তি গোপন করেছে। ওই সংস্থাটিতে শুধু রাহুল গান্ধীর শেয়ার রয়েছে ১৫৪ কোটি টাকার। অথচ, রাহুল দেখিয়েছেন মাত্র ৬৮ লক্ষ টাকার শেয়ার ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ