সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি আসলে গোটা দেশে আরএসএসের রাজনৈতিক মতাদর্শকে স্থাপন করতে চাইছে। গবাদি পশু বিক্রি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া আইনের বিরোধিতা করে এমনটাই জানালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কয়েকদিন আগেই জবাইয়ের জন্য হাট থেকে গবাদি পশু কেনা যাবে না, এমন ফরমান জারি করেছিল কেন্দ্র। প্রথম থেকেই সেই আইনের বিরোধিতা করছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। আর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই নয়া আইন নিয়ে আলোচনায় এভাবেই কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি।
[ধূমপানের মতোই ক্ষতিকারক গো-মাংস, দাবি আরএসএস নেতার]
গো-হত্যা নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নিয়মে কৃষকদের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনই অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে। এই প্রসঙ্গে বিজয়ন বলেন, ‘প্রত্যেক বছর রাজ্য ১৫ লক্ষেরও বেশি গবাদি পশু আনা হয়। অনেকেই শারীরিক পুষ্টির জন্য গবাদি পশুর মাংস খায়। কিন্তু কেন্দ্রের এই নিয়মের জন্য সেটি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘সাধারণ ব্যবসায়ীরা এই নিয়মে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গোটা দেশে গো-হত্যা বন্ধ করাই হল আরএসএসের মূল উদ্দেশ্য। আর সংঘ পরিবারের এই রাজনৈতিক মতাদর্শকেই গোটা দেশে প্রতিষ্ঠা করছে কেন্দ্র।’
[শরীরে চোখ-চামড়া ছাড়াই জন্ম শিশুর, চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে]
এর পাশাপাশি দুগ্ধজাত জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পিনারাই বিজয়নের মতে, ‘এই নিয়মের পর দুধ উৎপাদনের পরিমাণ কমবে। ফলে দুধের দাম বাড়বে। কৃষকরা এমনিতেই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোবে। রাজ্যে দুধের জোগান ঠিক রাখার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেজন্য অধিক সংখ্যক গবাদি পশু প্রয়োজন। সেখানেও এবার প্রভাব পড়বে। এছাড়া রেড মিটের জোগান কমে গেলে, অন্য মাংসের দামও বেড়ে যাবে।’ এরপরেই প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বক্তব্যকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা দাবি অনুযায়ী, প্রত্যেক সরকারেরই সামাজিক নীতি নির্ধারনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রভাবটিও দেখা উচিত।’
[ফরাসি ওপেন জিতে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব বোপন্নার]
প্রসঙ্গত, গবাদি পশু বিক্রি নিয়ে কেন্দ্র যে ফরমান জারি করেছে, ইতিমধ্যে সেটির বিরোধিতা করেছে কেরল, ত্রিপুরা, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য। কেরলে বহু জায়গায় ‘বিফ ফেস্টিভ্যাল’-ও পালন করা হয়েছে।