Advertisement
Advertisement

কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সলমন, বাকিরা বেকসুর খালাস

তাঁকে সরাসরি জেলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

Blackbuck case: Salman Khan convicted by Jodhpur court
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 5, 2018 11:24 am
  • Updated:April 5, 2018 11:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন সলমন খান। যোধপুর আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করল। যদিও টাবু, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে, সইফ আলি খানরা এই মামলায় ছাড় পেয়েছেন।

সলমনের অনুরাগীদের জন্য দুঃসংবাদই বলতে হবে। এর আগে এই মামলায় বারবার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তারকা। যদিও এবার আর কোনও যুক্তিই ধোপে টিকল না। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তাঁকে সরাসরি জেলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। কত বছরের সাজা হবে তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।বন্যপ্রাণ আইনের ৯/৫১ ধারায় দোষী হয়েছেন সলমন। সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ ৬বছরের সাজা হতে পারে, সর্বনিম্ন ১ বছরের। এই মুহূর্তে সবথেকে কম সাজারই আবেদন জানাচ্ছেন তারকার আইনজীবী। যদি তিনি তিন বছরের বেশি সাজা পান, তাহলে তাঁকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। আর যদি তাঁকে ৩ বছরের কম সাজা দেওয়া হয় তাহলে এখনই তাঁর জামিন মঞ্জুর হবে। এক মাসের মধ্যে তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে পারবেন।

Advertisement

[  বন্দুক কাঁধে ডাকাতরানি ভূমি, ছবি দেখে চমকে গেল নেটদুনিয়া ]

Advertisement

অক্টোবর, ১৯৯৮। চলছিল ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং। যোধপুরে সেই শুটিং চলাকালীনই কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। একই দায়ে পড়েন সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ একাধিক তারকা। প্রায় কুড়ি বছর আগের ঘটনা। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে সন্তানস্নেহেই পালন করেন, রক্ষাও করেন। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্য থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। যদিও বারবার নিজেকে নির্দোষ বলেছেন সলমন। এমনকী তাঁর আইনজীবীর দাবি ছিল, বন্দুক দিয়েই যে হরিণটিকে হত্যা করা হয়েছে এরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি। মৃত হরিণের দেহে কোনও বুলেটও পাওয়া যায়নি বলে দাবি তাঁর। প্রায় দু-দশক ধরে নানা উত্থান পতন হয়েছে ওই মামলার। অবশেষে আজ হল রায় ঘোষণা। দোষী সাব্যস্ত হলেন সলমন। যদিও টাবু, সইফ, সোনালি, নীলমরা এই মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ