Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেঘালয়ের অভিশপ্ত খনিতে দেহের সন্ধান পেল নৌসেনা

খনির জলে অ্যাসিড থাকায় দেহগুলি গলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Body traced in Meghalaya mine
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 18, 2019 10:00 am
  • Updated:January 18, 2019 10:00 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ের কসানের কয়লা খনি দুর্ঘটনার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। তারপর এক শ্রমিকের দেহ খুঁজে পেয়েছেন নৌসেনার ডুবুরিরা। বৃহস্পতিবার সকালে খনির প্রায় ১৬০ ফুট গভীরে ওই শ্রমিকের দেহটি দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। ভারতীয় নৌসেনার তরফেও টুইটারের মাধ্যমে এই খবর জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের অবৈধ খনিটি থেকে কয়লা তুলতে গিয়েছিলেন একদল শ্রমিক। তার পর আর ফিরতে পারেননি কেউই। খনির ভিতর ধসের কারণে আটকে যান ওই পনেরো শ্রমিক। তার পর থেকে শুরু হয় উৎকণ্ঠা। সময় যত কেটেছে, ততই বেড়েছে উৎকন্ঠা। শ্রমিকদের উদ্ধারে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন এনডিআরএফ-ডুবুরিরা। মাটির নীচে নজর যায়, এমন রাডার দিয়ে খোঁজ চালানো হয়। তাতেও কাজ হয়নি। শেষে নামানো হয় দূরনিয়ন্ত্রিত ছোট যান। কিন্তু এক মাসেও কোনও সাফল্য না মেলায় মেঘালয় সরকার কার্যত দিশাহারা। তার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ‘অসম্ভব ঘটনাও ঘটে’– মেনে চলতে থাকে উদ্ধারকাজ। কিন্তু এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, নৌসেনা, কোল ইন্ডিয়া, কির্লোস্কার, প্ল্যানিস টেকনোলজির-সহ বিভিন্ন সংস্থার শ’দুয়েক উদ্ধারকারী তিরিশ দিন ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে কয়েক কোটি লিটার জল বের করলেও ৩৭০ ফুট গভীর গহ্বরে জমা ১৬০ ফুট জল কমাতে পারেননি। ইতিমধ্যেই কোটি টাকার উপরে খরচ হয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার খোঁজ মিলল এক শ্রমিকের দেহের। আরও কত দিন চলবে উদ্ধারকাজ, তা কেউ জানেন না।

এদিকে আটকে পড়া বাকি কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই প্রশাসনের মত। কিন্তু সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই মাটির গভীরে কার্যক্ষম রাডার নিয়ে হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও চেন্নাইয়ের প্ল্যানিস টেকনোলজির দল এবং রুরকি-র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইড্রোলজির বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছেন। উদ্ধারকারীদের একাংশের আশঙ্কা, খনির জলে অ্যাসিড থাকায় দেহগুলি গলে যেতে পারে। নৌসেনা মূল খাদান ও আশপাশের সর্বত্র ‘আরওভি’ দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু জলতল না কমায় ডুবুরি নামানো যাচ্ছে না। উদ্ধারকারীদের একাংশের আশঙ্কা, খনির জলে অ্যাসিড থাকায় দেহগুলি গলে যেতে পারে।

[তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে আকাশপথে নজরদারি ‘দুর্দান্ত’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ