সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খয়রাতি নয়। কৃষক সমস্যার সমাধানে পরিকাঠামো খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্র নিল দ্বিতীয় মোদি সরকার। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানালেন, কৃষি, সেচ, এবং গ্রামোন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মোদি সরকার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ক্ষেত্রে ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।অর্থমন্ত্রী সীতারমণ ঘোষণা করেন, কৃষকদের জন্য ১৬টি কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলি কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন।
FM Nirmala Sitharaman: Village Storage Scheme run by Self Help Groups, will provide holding capacity for farmers, women in villages can regain their status as ‘Dhaanya Lakshmi’ https://t.co/I6BwbXHP6s
— ANI (@ANI) February 1, 2020
নির্মলা বলেন, “ইতিমধ্যেই ৬.১১ কোটি কৃষক প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ বিকাশ নিধিতে সরাসরি কৃষকদের হাতে টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের পরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।” অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, “১০০টি খরাপ্রবণ জেলায় খরা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী কুসুম কিষাণ যোজনায় ২০ লক্ষ কৃষককে সোলার পাম্প দেওয়া হবে। ১৫ লক্ষ কৃষককে সোলার পাওয়ার জেনারেশন উইনিট বসাতে সাহায্য করা হবে। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে কৃষকদের জৈব এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারে ভারসাম্য আনতে হবে। জৈব সার কেনার ক্ষেত্রে কৃষকদের অতিরিক্ত ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: সাধারণ বাজেট ২০২০ LIVE: কৃষকস্বার্থে ১৬টি দাওয়াই, শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নের ঘোষণা]
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব, “বীজ সংরক্ষণের জন্য জেলায় জেলায় আধুনিক ওয়্যার হাউস তৈরি করা হবে। গ্রামের কৃষকদের বীজ কিনতে সাহায্য করবে স্বর্ণ জয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনার আওতায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। নাবার্ডের মাধ্যমে এবং মুদ্রা যোজনার আওতায় কৃষকদের ঋণ দেওয়া হবে। দীনদয়াল অন্ত্যদায় যোজনার ৫৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই সংখ্যাটা আরও বাড়াবে সরকার।”
[আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ড: বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ রাষ্ট্রপতির]
কৃষিজাত পণ্যের পরিবহণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। নির্মলা জানান, এই প্রথম ভারতীয় রেলের তরফে কৃষকদের জন্য কিষাণ রেল তৈরি করা হবে। এটা পিপিপি মডেলে তৈরি হবে।অর্থাৎ, কেন্দ্র-রাজ্য এবং তৃতীয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে। যা কৃষকদের ফসল এবং বীজ পরিবহণে সাহায্য করবে। মূলত পচনশীল খাদ্য পরিবহণে কাজ করবে এই রেল। একই ধাঁচে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহণের জন্য ‘কৃষি উড়ান’ প্রকল্পের সূচনা করা হবে । যাতে আকাশপথেও এই একইভাবে কৃষকদের পণ্য পরিবরণ করা যায়। এতে বিশেষভাবে উপকৃত হবে উত্তরপূর্ব ভারত এবং আদিবাসী অধ্যূষিত জেলাগুলি। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি, সেচ এবং গ্রামোন্নয়নের ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এটি দুইভাগে বিভক্ত। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা কৃষি ও কৃষিজাত উন্নয়ননের জন্য। এবং বাকিটা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের জন্য।