Advertisement
Advertisement

Breaking News

Manish Kothari

‘শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করেছি’, দিল্লি আদালতে দাবি মণীশ কোঠারির, তবু মিলল না জামিন

শুনানি শেষে স্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মণীশ।

Cattle smuggling: Anubrata Mandal's CA Manish Kothari remanded to ED custody | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 15, 2023 2:51 pm
  • Updated:March 16, 2023 10:07 am

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। বুধবার তাঁর ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। আগামী সোমবার ফের আদালতে পেশ করা হবে মণীশকে।

মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করার পর বুধবার দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে মণীশকে পেশ করা হয়। আদালতে মণীশের দুই আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় এবং সঞ্জীব দাঁ তাঁকে ইডি (ED) বা জেল হেফাজতে পাঠানোয় প্রবল আপত্তি জানান। তাঁদের যুক্তি ছিল, মণীশ হিসাবরক্ষক হিসাবে শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। তাছাড়া সদ্যই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শও প্রয়োজন। কিন্তু মণীশের আইনজীবীর সব যুক্তি খারিজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন, ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে মোদিকে খোঁচা কেজরির]

আদালতে এদিন একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করেছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আইনজীবীর দাবি, অনুব্রত জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের জানিয়েছেন, যাবতীয় টাকাপয়সার লেনদেন, নয়ছয় সব হত মণীশের হাত দিয়ে। সব কিছুই জানতেন তিনি। আর শুধু অনুব্রতর নয়, তাঁর দেহরক্ষী সায়গলের যাবতীয় হিসাবও নাকি মণীশই দেখতেন। যদিও এই যুক্তির পালটা মণীশের আইনজীবীরা দাবি করেন, একজন পেশাদার হিসাবে মণীশ শুধু নিজের কাজ করে গিয়েছেন। তাছাড়া অন্য কেউ জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর সম্পর্কে কী বলল, তার দায় তাঁদের নয়। যদিও শেষপর্যন্ত জামিনের আবেদন করেননি মণীশের আইনজীবী। তাঁরা জানান, হেফজতের বদলে মণীশকে নির্দিষ্ট কোনও একটা এলাকায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED’র হাজিরা এড়ালেন অনুব্রতকন্যা সুকন্যা, এবার কী পদক্ষেপ তদন্তকারীদের?]

আদালত থেকে বেরিয়েও মণীশ দাবি করেছেন, তিনি শুধু পেশাদার হিসাবরক্ষক হিসাবে নিজের কাজ করেছেন। এমনকী পেশা হিসাবে হিসাবরক্ষকের কাজ বেছে নেওয়ার  আক্ষেপ হচ্ছে বলেও জানান  তিনি। শুনানি শেষে স্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় মণীশকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ