Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cattle smuggling

গরু পাচারে বাংলাদেশ যোগ, সূত্রের সন্ধানে হাওয়ালা কারবারিদের জেরা করবে সিবিআই

কোন পদ্ধতিতে চলত গরু পাচার, বিশদে জানলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

CBI to investigate further about cattle smuggling after finding Bangladesh link | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 13, 2022 6:12 pm
  • Updated:August 13, 2022 11:26 pm

সুব্রত বিশ্বাস: গরু পাচারে এবার মিলেছে বাংলাদেশের যোগসূত্র। আর তার সন্ধানে নামতে চলেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক যোগসূত্রের সন্ধান মিলেছে। ঝাড়খণ্ডের থেকে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে (Bangladesh) গরু পাচার চলে মূলত রামপুরহাটের একাধিক গরুর হাটকে কেন্দ্র করে। রাতের অন্ধকারে গরুর পাল এনে হাটগুলিতে জড়ো করা হতো। তারপর মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত হয়ে পাচার করা হতো বাংলাদেশে। এই পাচারে যুক্ত বিভিন্ন এলাকার পুলিশ, বিএসএফ (BSF)ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী থেকে হাওয়ালায় যুক্ত কারবারিরা বলে সূত্রের খবর। অনুব্রতকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে  সিবিআই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছে, বিভিন্ন পথে পাচারে সহযোগী ছিলেন কারা? কোন শ্রেণির মানুষজন প্রভাব খাটিয়ে গরু পাচারকে (Cattle smuggling)মদত দিয়েছে? সংস্থার দাবি, এই সব তথ্য প্রকাশ হলেই আরও রাঘব বোয়ালদের সন্ধান মিলবে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতিমধ্যে জেনেছেন, গরু পাচারে যুক্ত রয়েছে এক শ্রেণির বিএসএফ কর্তা থেকে কর্মী, স্থানীয় থানার পুলিশের একাংশ, রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণির কর্মী ও হাওয়ালায় নিযুক্তরা।  হাওলা কারাবারিদের কাছে নির্ধারিত সংখ্যার দশ টাকার নোট নিয়ে পৌঁছে যেত গরু পাচারকারীদের লোকজন। ওই টাকা রেখে কারবারিরা লক্ষ লক্ষ টাকা পেমেন্ট করে দিত তাকে। সীমান্তের (Border) নানা ঝক্কি এড়িয়ে একপ্রকার ঘরে বসেই মিলে যেত টাকা। সেই টাকাই পৌঁছে যেত পাচারকারী থেকে  সহযোগীদের নানা মহলে, এমনই জেনেছে সিবিআই। এবার ওই সূত্র ধরে  সিবিআই পৌঁছতে চাইছে একেবারে শিকড়ের কাছে।

Advertisement
 

[আরও পড়ুন: আন্দোলন শেষ! ফের কেন্দ্র সরকারি চাকরিতে ফিরলেন কাশ্মীরের বিদ্রোহী IAS ফয়জল]

   
ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) থেকে গরুর পাল রাতের অন্ধকারে দুমকা – রামপুরহাট রোড দিয়ে  বাংলায় ঢুকত। পঞ্চাশ, ষাট কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার সময় পুলিশি বাধার মুখে কখনওই পড়তে হত না পশু কারবারিদের। এর জন্য বিভিন্ন নেতা থেকে পুলিশের সহযোগিতার যোগসূত্রের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। গরুগুলি মালদহের শোভাপুর, মুর্শিদাবাদের পারদেনাপুর, নিমতিতা, চাঁদনি চক, খাণ্ডুয়া সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয় বাংলাদেশে। বৈষ্ণব নগর এলাকায় গরুকে কলাগাছের ভেলায় বেঁধে গঙ্গা পার করে নিয়ে যাওয়া হয় ওপারে। সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতিও সম্পর্কেও জেনেছে তদন্তকারীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ ঘণ্টায় জিব্রাল্টার প্রণালী পার বাংলার সাঁতারু তাহরিনার, খুশির হাওয়া উলুবেড়িয়ায়]

প্রথমে একটি, পরের লাইনে দু’টি, তারপরে তিনটি, এরপর চারটি – এভাবে তীরের ফলার মতো বেঁধে পরপর সার দিয়ে গরুগুলিকে বাঁধা হয় লাইনে। এরপর একেবারে পিছনের গরুগুলিকে সরু লোহার ফলক দিয়ে লেজের নিচে নরম মাংসের উপর আঘাত করে পাচারকারীরা। তীব্র যন্ত্রণায় গরু দৌড়তে থাকে। পিছনের গরুর ধাক্কায় সামনের গরুগুলিও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এইভাবে দুরন্ত গতিতে পার হয়ে যায় দীর্ঘ পথ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এই পদ্ধতিকে ‘অমানবিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাঁদের কথায়, এই কাজে যুক্ত পাচারকারীরা দয়ামায়াহীন। পাচারের রুট ও সহযোগিতার সন্ধানে এদেরও জিজ্ঞাসবাদ করবে তদন্তকারী সংস্থা বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ