সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫০ কোটির বেশি অনাদায়ী ঋণে এবার তদন্ত হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। ঋণ পরিশোধ না করলেই সিবিআইয়ের কাছে দায়ের হবে প্রতারণা মামলা। মামলার ভিত্তিতে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে হবে তদন্ত। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের উদ্দেশ্যে এহেন নির্দেশিকা পেশ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দৈনন্দিন কাজের পদ্ধতিতে প্রযুক্তিগত যেসব ঝুঁকি রয়েছে তা খুব শীঘ্রই চিহ্নিত করে রিপোর্ট দিতে হবে। সিনিয়র আধিকারিকদের দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে। যাতে কোনও ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জবাবদিহি করতে হয়। পুরো কাজটিই শেষ করতে হবে ১৫দিনের মধ্যে। মূলত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ২০ হাজার কোটির জালিয়াতি ও প্রতারণার পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের তরফে এমনই নির্দেশিকা পৌঁছেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির কাছে।
[মোদির হয়ে ব্যাটিং অমিত শাহর, ৪ প্রজন্মের কাজ নিয়ে রাহুলকে বিদ্রুপ]
বলাবাহুল্য, রাষ্ট্রায়্ত্ত ব্যাংকগুলির অনাদায়ী ঋণ ও অনুৎপাদক সম্পদ রয়েছে। যার মোট পরিমাণ প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। যা নিয়ে কেন্দ্র অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পদক্ষেপ করতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, প্রয়োগগত ও প্রযুক্তিগত ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। রয়েছে অন্যান্য দুর্বলতাও। সেগুলি চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মন্ত্রকের আর্থিক পরিষেবা বিষয়ক সচিব রাজীব কুমার একটি টুইট করেছেন। টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, “রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিকে ১৫ দিনের মধ্যে যাবতীয় ত্রুটি বিচ্যুতি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সিনিয়র আধিকারিকদের কার কী দায়িত্ব, নির্দিষ্ট করতে হবে। এই ধরনের ঝুঁকি কমাতে ব্যাংকগুলিকে সেরা উপায়গুলি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। প্রযুক্তিগত সমাধান বের করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করতে হবে।”
[৩.৫ বছরের দুধের শিশুকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
পাশাপাশি, বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন, আর্থিক তছরূপেও নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। আমদানি রপ্তানি আইন ভাঙলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সকে জানাতে হবে। চলতি মাসের গোড়ায় পিএনবি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা স্বীকার করায় গোটা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নিয়ামক সংস্থা, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও অডিটরদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আঙুল ওঠে কেন্দ্রের দিকেও। মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কেলেঙ্কারি রুখতে ব্যাংকগুলিকে তাই আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।