Advertisement
Advertisement
পরীক্ষা

পরীক্ষা চলাকালীন মৃত্যু, ফলে চমক দিয়ে অজানার পথে পাড়ি বিনায়কের

স্টিফেন হকিং হতে চেয়েছিল নয়ডার ওই ছাত্র।

CBSE class X: Boy who died during exam scored above 90
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 8, 2019 12:02 pm
  • Updated:May 8, 2019 12:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনটি পরীক্ষা দিতে পেরেছিল সে। তারপরই কঠিন রোগে মৃত্যু। আর সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই চমক। ওই কিশোর যে তিনটি পরীক্ষা দিয়েছিল সব ক’টিতেই প্রায় একশোর কাছাকাছি নম্বর। যা দেখে কিশোরের পরিবারের মতোই ভারাক্রান্ত কিশোরটির স্কুলের শিক্ষকরাও।

[সিবিএসই দ্বাদশের ফলাফলে ছাত্রীদের জয়জয়কার, যুগ্ম প্রথম হংসিকা-করিশ্মা]

Advertisement

ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল স্টিফেন হকিংয়ের মতো হওয়া। সেই মতো নিজেকে আস্তে আস্তে তৈরিও করছিল ছেলেটি। কিন্তু মাঝপথেই ছন্দপতন নয়ডার ক্লাস টেনের বিনায়ক শ্রীধরের। নয়ডার একটি নামী বেসরকারি স্কুলেই পড়ত মেধাবী কিশোরটি। তবে বিনায়কের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ির লোকজনের একটা দুশ্চিতা ছিলই। ছোট থেকেই কঠিন রোগে ভুগছিল সে। কিন্তু সিবিএসই-র ক্লাস টেনের পরীক্ষা চলাকালীনই যে কঠিন রোগে তার মৃত্যু হবে, তা হয়তো কল্পনা করতে পারেনি কেউই। আর সোমবার সিবিএসই-র ক্লাস টেনের ফলপ্রকাশ হতেই দেখা যায় যে, বিনায়ক ইংরেজিতে পেয়েছে ১০০, বিজ্ঞানে ৯৬ ও সংস্কৃতে ৯৭। ছেলের ফল দেখে কেঁদে ফেলেন বিনায়কের মা। আবেগঘন গলায় তিনি বলেন, “ছোট থেকেই ছেলে বলত সে স্টিফেন হকিংয়ের মতো হবে। সারাক্ষণ বিজ্ঞান নিয়ে থাকতে ভালবাসত।” সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, স্নায়ুর কঠিন রোগ ছিল ছোট থেকেই। চিকিৎসকরাও বলেছিলেন, বেশিদিন বাঁচার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পরীক্ষার মাঝপথেই যে সকলকে ছেড়ে চলে যাবে বিনায়ক, তা পরিবার বুঝতে পারেনি।

Advertisement

এদিকে, শহরেই প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে সিবিএসইর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পরীক্ষায় দারুণ ফল করেছে ১৬ বছরের কিশোর কৃতীমান দাশগুপ্ত। ছোট থেকেই জটিল স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত রবীন্দ্র সরোবর লাগোয়া রসা রোডের বাসিন্দা কৃতীমান দাশগুপ্ত। কিন্তু পড়াশোনা বা গানবাজনায় তা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি অটিস্টিক কিশোরের সামনে। মনের জোর, অন্তহীন জেদ এবং পরিবারের সকলের সাহায্যে জীবনের এক একটা কঠিন অধ্যায় পার করেছে সে। বাবা,মা দু’জনই সরকারি চাকুরে। সঙ্গী বলতে সঙ্গীত আর বোন। এনিয়েই কৃতীমানের প্রাত্যহিকতা৷ “কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি, ছেলে পরীক্ষায় এমন ফল করবে। কিন্তু ও যা করে দেখাল, আমাদের কাছে তা যুদ্ধজয়ের চেয়ে কম কিছুই নয়।” সোমবার সন্ধ্যায় কথাগুলো বলার সময় গলা ধরে আসছিল মা স্বাতী দাশগুপ্তর। জানালেন, “ওর জার্নিটা আসলে দীর্ঘদিনের। ওর লড়াইটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। অবশ্য স্কুলও বরাবরই পাশে ছিল।”

[সিবিএসই-তে কেমন রেজাল্ট করল নেতা-মন্ত্রীদের সন্তানরা? জানাল টুইটার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ