সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাফালে যুদ্ধবিমান নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। বুধবার কেন্দ্রকে মুখবন্ধ খামে বিমানটির দাম জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশের পরও অবস্থান বদল করছে না কেন্দ্র।
[উপত্যকায় ফের সাফল্য সেনার, এনকাউন্টারে নিকেশ ২ জঙ্গি]
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে রাফালে যুদ্ধবিমানের দাম জানাবে না কেন্দ্র। এই মর্মে শীর্ষ আদালতে একটি অ্যাফিডেভিট দাখিল করবে সরকার। সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা ও অস্ত্রের গোপনীয়তার যুক্তি তুলে ধরা হবে। এই বিষয়ে আগেও সরকারের দাবি ছিল, রাফালে সংক্রান্ত তথ্য দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে। এমনকী,যুদ্ধপ্রস্তুত রাফালে বিমানের মূল্য সংসদকেও জানানো হয়নি। শুনানি চলাকালীন, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর এজলাসে এই যুক্তিই তুলে ধরেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রে খবর, সংসদে রাফালে বিমানের ‘বেস প্রাইস’ বা বিমানটির অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ ছাড়া শুধুমাত্র খাঁচাটির দাম বলা হয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টে রাফালে সংক্রান্ত যে তথ্য জমা দিয়ে চলেছে কেন্দ্র তা পিটিশনারদের হাতে দেওয়া হবে না। সমস্ত তথ্য গোপনে খতিয়ে দেখবেন বিচারপতিরা।
বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মন্তব্য করেন, “আমরা চাই রাফালে চুক্তির মূল্য এবং চুক্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ুক। আগামী দশ দিনের মধ্যে মুখবদ্ধ খামে তা জমা করা হোক।” রাফালের মূল্য সংক্রান্ত চুক্তিপত্রের পাশাপাশি অনিল আম্বানির সংস্থার সঙ্গে কিসের ভিত্তিতে চুক্তি করা হল তাও মুখবদ্ধ খামে জানতে চেয়েছে আদালত। এদিকে কেন্দ্রের আশঙ্কা, অত্যাধুনিক রাফালের বিমানের গোপন তথ্য শত্রুদেশের হাতে চলে যেতে পারে। এমন অবস্থায় অনেকটাই বেকায়দায় পড়তে হয়ে পারে সেনাবাহিনীকে। উল্লেখ্য, ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ২০১৬ সালে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই ৩৬টি বিমানের জন্য ভারতকে খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ৫৮,০০০ কোটি টাকা। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর থেকে ফ্রান্সের কাছ থেকে এই বিমান পেতে শুরু করবে ভারত। ২০২২-এ সবক’টি বিমান দেওয়ার কাজ শেষ হবে।
[ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের]