Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীরে মসজিদ কত রয়েছে, কারা চালাচ্ছে? তথ্য চাইল কেন্দ্র

ভারত বিরোধী কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু একাধিক মসজিদ!

Centre seeks detailed report on mosques in Kashmir

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 30, 2019 8:49 am
  • Updated:July 30, 2019 8:49 am

মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: কাশ্মীরে অতিরিক্তি ১০ হাজার আধা সেনা মোতায়েনের সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে আরও রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র। কাশ্মীর জুড়ে নজরদারি, টহলদারি বাড়ানো হচ্ছে। হুরিয়ত নেতাদের গতিবিধি ও কাজকর্মের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে জুড়ল নয়া ফরমান। কাশ্মীর উপত্যকায় কোথায় কতগুলি মসজিদ আছে? সেগুলিতে ঠিক কী কী পরিষেবা দেওয়া হয়? কারা সেগুলির পরিচালক? তাঁদের সামাজিক অবস্থান কি? কীভাবে সেগুলির কাজকর্ম চলে? মসজিদগুলির বার্ষিক আয়, ব্যয় রক্ষণাবেক্ষণ খরচের হিসেব নিয়ে যাবতীয় তথ্য চাইল কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে সরকারি নির্দেশনামা পৌঁছে গিয়েছে কাশ্মীর উপত্যকার প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে। দ্রুত সঠিক পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ছোবলের পালটা! সাপকে কামড়ে টুকরো টুকরো করল মদ্যপ]

Advertisement

সূত্রের খবর, কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে মসজিদগুলি ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম প্রচণ্ড বাড়তে থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে। তাছাড়া প্রতি জুম্মাবারের নমাজের পর মসজিদগুলি থেকে ভারত বিরোধী স্লোগান, উত্তেজক ধর্মীয় বক্তৃতা দেওয়া এবং ইসলামিক স্টেটের পতাকা উড়িয়ে খিলাফত গঠনের ডাক দেওয়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদগুলি থেকে ভারতীয় সেনা, আধাসেনাকে লক্ষ্য করে লাগাতার পাথর ছোড়া এখন পরিচিত ঘটনা। দীর্ঘ তিন দশক ধরে কাশ্মীরের মসজিদগুলি থেকে জেহাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই ৩৫এ ধারা ও ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যখন একের পর এক পদক্ষেপ করছে তখন মসজিদ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য চাওয়াকে তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি থানা ও পুলিশ সুপারকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, কাশ্মীর উপত্যকায় কতগুলি পেট্রোল পাম্প আছে? তার প্রতিটিতে জ্বালানি তেলের ধারণ ক্ষমতা কত? এবং কতগুলি ট্যাক্সি ও মালবাহী গাড়ি চলে তার হিসেব এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে।

Advertisement

কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও জটিল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর অনুরোধে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এককথায় রাজি হয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সময়ও চেয়েছেন মেহবুবা। মেহবুবার সাফ কথা, এখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাটা খুব জরুরি। উনি কখন উত্তর দেবেন তার অপেক্ষায় আছি। আমাদের জানতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক কী চাইছে? কেন এত সেনা, আধা সেনা কাশ্মীরে মোতায়েন হচ্ছে? একই কথা  বলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও।

এদিকে, অমরনাথ তীর্থযাত্রা এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই হচ্ছে। দুর্ঘটনার কোনও খবর নেই। এই অবস্থায় রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের পরামর্শদাতা কে বিজয় কুমার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অজস্র গুজব রটছে। এগুলিতে যাতে কেউ কান না দেন তার জন্য সরকার প্রচার চালাচ্ছে। সেনা মোতায়েন, ৩৫ এ ধারা বাতিল নিয়ে অযথা আতঙ্ক ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সরকার যা পদক্ষেপ করছে তা রাজ্যের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সুনিশ্চিত করতেই করছে। অন্যদিকে, পুলওয়ামার মাত্রিগাঁও এলাকায় পিডিপি দলের কর্মী লতিফ আহমেদ শাহকে খুব কাছ থেকে গুলি করে এক জঙ্গি। পিডিপি’র দপ্তরেই গুলি করা হয় তাঁকে। হামলার নিন্দা করেছেন মেহবুবা মুফতি।

[আরও পড়ুন: ‘গরু হিন্দু’! ধর্ম নিয়ে বিজেপি নেতার মন্তব্যে চক্ষু চড়কগাছ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ