Advertisement
Advertisement

Breaking News

রেল

কর্মীদের ‘করোনার মুখে ঠেলে’ বেমালুম হাওয়া আধিকারিক, ক্ষুব্ধ রেলকর্মীরা

রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন কর্মীরা।

Chennai: Railway employees protest DRM decision amid corona scare
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 5, 2020 3:15 pm
  • Updated:June 5, 2020 3:15 pm

সুব্রত বিশ্বাস: ‘পারিষদদের রাজধর্ম পালনের নির্দেশ দিয়ে রাজা গেলেন অন্তঃপুরে।’ সাদার্ন রেলের চেন্নাই ডিভিশনে তেমনই অভিযোগ ওঠে এসেছে খোদ ডিআরএম-এর বিরুদ্ধে। কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, করোনার হটস্পট চেন্নাই ডিভিশনে ১০০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দিয়ে নিজেই অফিসে আসছেন না ওই আধিকারিক। অথচ সবাইকে কাজে যোগ দিতে বলে করোনা সংক্রমণের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন ডিআরএম পি মহেশ।

[আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাড়ছে সংক্রমণ, দিল্লি মেট্রোর ২০ জন কর্মীর শরীরে মিলল করোনার সন্ধান]

রেলের চেন্নাই ডিভিশন এখন করোনার হটস্পট। কোভিড আক্রান্ত অফিসার ও কর্মীর সংখ্যা শতাধিক। দিনকয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এডিআরএমের ড্রাইভার ও সিনিয়ার ডিএসও-র পিওনের। এরপর অবস্থা চরমে ওঠে। এডিআরএম (অপারেশন), সিনিয়র ডিইই (অপারেশন)-সহ পুরো পরিবার করোনা আক্রান্ত। ডিইই (অপারেশন), সিনিয়র ডিওএম, রাজভাষা আধিকারিক, সিনিয়র কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর, কিছু কন্ট্রোলের ও আরপিএফ কর্মীদের শরীরেরও পাওয়া যায় করোনার জীবাণু। এহেন পরিস্থিতিতে কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছাড়িয়ে পড়ার জন্য চেন্নাইয়ের ডিআরএমের নির্দেশকে দায়ী করেছেন রেলকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, যখন এই ভাইরাসের আক্রমণ ছাড়িয়ে পড়েছে তখন ডিআরএম প্রত্যেক অধিকারিককে রোজ কাজে আসার নির্দেশ দেন। কর্মীদের বিকেল পাঁচটা ও আধিকারিকদের সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। এডিআরএমকে শ্রমিক ট্রেন তদারকির দায়িত্ব দেন। নির্দেশের যখন এই বহর তখন ডিআরএম নিজে এক দু একদিন ছাড়া দপ্তরে আসেননি।

Advertisement

এদিকে, জোলাপেট এলাকার একটি কাজ তদারকির নির্দেশ দিয়ে আধিকারিক ও কর্মীদের সেখানে নিয়মিত পাঠান অভিযুক্ত ডিআরএম। এই প্রেক্ষিতে কাজটি কয়েকদিন পরে হলেও কিছু ক্ষতি হত না বলে কর্মীদের মত। অভিযোগ, তা জেনেও টেকনিশিয়ান ও শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর কড়া নির্দেশ দেন তিনি। যা পালন করতে গিয়ে কর্মীদের স্পেশ্যাল ট্রেনে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়েছে। অনেকেই ফিরেছেন গভীর রাতে। অভিযোগ, এডিআরএম নিজে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে আক্রান্ত হন কোভিডে। অফিসাররাও একইভাবে নির্দেশ পালনে গিয়ে পর পর আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেও ভিডিওতে নয়, সরাসরি হাজির হয়ে লোকো কন্ডাক্ট মিটিংয়ের নির্দেশ দেন। এভাবেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এক চালক ও পিয়নের মৃত্যুর পর আতঙ্কের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন কর্মীরা। সমস্যা না মিটলে আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের খারিজ তিহার জেলে বন্দি জামিয়ার অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর জামিনের আবেদন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ