ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটি থেকে চারটি শিশু বিক্রি করা হয়েছে। তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। চতুর্থ শিশুটিকে কোথায় বিক্রি করা হয়েছিল, তারও খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
রাঁচির পুলিশকর্তা অনিশ গুপ্তা জানান, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সন্ন্যাসিনী সিস্টার অনিমা ইন্দওয়ার আগেই স্বীকার করেছিল ওই হোম থেকে চারটি শিশু বিক্রি করা হয়েছে। সন্ন্যাসিনীদের বিক্রি করা চারটি শিশুর মধ্যে তিনটি শিশুর খোঁজ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। চতুর্থ শিশুটিরও খোঁজ মিলল। উত্তরপ্রদেশের পালামুর ছাতারপুর এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ওই শিশুকে বিক্রি করেছিল মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সন্ন্যাসিনী। ওই দম্পতির বাড়ি থেকেই সন্তানটি উদ্ধার করে পুলিশ। দম্পতিকে জেরা করে পুলিশ।
All four babies have been found, further investigation is underway: Anish Gupta, SSP, Ranchi on Jharkhand baby-selling racket pic.twitter.com/yrHS3UTMP8
— ANI (@ANI) July 16, 2018
উত্তরপ্রদেশের ওই দম্পতি সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কর্মী অনিমা ইন্দওয়ারের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। আইন বহির্ভূতভাবেই ওই হোম থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি পুত্রসন্তান দত্তক দেওয়া হয় দম্পতিকে। এরপর কিছু কাগজপত্র দেওয়ার নাম করে সংস্থার রাঁচি শাখায় ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। অভিযোগ, সেখানেই শিশুটিকে কেড়ে নেয় অনিমা। শিশু ফেরত দিতে না চাওয়ায় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির দ্বারস্থ হন দম্পতি।
দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতেই কোতয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রতিনিধিরা কথা বলেন। তদন্তে নামে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। সামনে আসে অনিমা ইন্দওয়ারের নাম। তাকে জেরা করেই খোঁজ পাওয়া যায় সিস্টার কোনসিলিয়ার। কয়েকদিন আগেই জেরায় শিশু বিক্রির কথা স্বীকার করে নেয় সিস্টার কোনসিলিয়ার। সে দাবি করে হোমের প্রত্যেকের চোখে ধুলো দিয়ে তিনটি শিশু বিক্রি করে সে। কোনসিলিয়ার স্বীকারোক্তির ভিডিও প্রকাশ করে পুলিশ। তবে চারটি শিশু বিক্রি করা হয়েছে বলেই জেরায় স্বীকার করেছিল অনিমা ইন্দওয়ার। ধৃতদের স্বীকারোক্তিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আগেই তিনটি শিশুকে উদ্ধার করে। এবার চতুর্থ শিশুটিরও খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.