Advertisement
Advertisement

মোদির রাজ্যেই জিএসটির বিরুদ্ধে জোরাল প্রতিবাদ, উত্তাল সুরাট

বিক্ষুব্ধদের সামলাতে পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস।

Cloth traders protesting GST baton charged by police in Surat
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 3, 2017 10:24 am
  • Updated:July 3, 2017 10:24 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে জিএসটি বিরোধিতায় বেনজির অশান্তি। সুরাটে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খেল পুলিশ। বেধড়ক লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ  বস্ত্রব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ,  বিনা প্ররোচনায় তাদের লাঠিপেটা করা হয়। পুলিশ দমনপীড়ন চালালেও, জিএসটির বিরোধিতা থেকে সরছেন না ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে জিএসটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের এমন মনোভাবে কেন্দ্রের বিড়ম্বনা বাড়ছে।

[‘বাবার মতোই প্রণবদা আমাকে বারবার পথ দেখিয়েছেন’]

এক দেশ, এক কর ব্যবস্থা। ৩০ জুন মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে এমন ঘোষণা করলেও জিএসটির প্রয়োগ ক্রমশ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সবার আগে জিএসটির বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এবং আরও কিছু বিরোধী দল জিএসটি প্রয়োগে কেন এত তাড়াহুড়ো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দেশের বিভিন্ন বণিক সংগঠনও জিএসটি নিয়ে অসন্তোষ লুকোয়নি। এর প্রতিবাদে গত ২৭-২৯ জুন দেশ জুড়ে বস্ত্রশিল্পে ধর্মঘট হয়েছিল। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেও বিরোধিতা জারি রাখেন সুরাটের ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের বস্ত্রব্যবসায়ীরা জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সুরাটের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। কয়েক হাজার বস্ত্র ব্যবসায়ীকে সামলাতে পুলিশ নাজেহাল হয়ে পড়ে। প্রতিবাদীদের সামলাতে পুলিশ লাঠিপেঠা করে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। যা নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল সুরাট।

Advertisement

[জিএসটির ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল বাইক, গাড়ির দাম]

গুজরাটে বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বস্ত্রশিল্পকে কখনও করের আওতায় আনা হয়নি। তাদের অভিযোগ, সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা না বলেই জিএসটি চালু করল। এই করব্যবস্থার পরিকাঠামো তৈরি না করে সরকার তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পোশাকের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় গুজরাটের ব্যবসায়ীদের সিংহভাগ অংশ। জিএসটির প্রতিবাদে ইতিমধ্যে ২ দিন ব্যবসা বন্ধ রাখেন গুজরাটের কাপড় ব্যবায়ীরা। বনধে ব্যাপক সাড়া পড়ে। কেউ কাজ করলেও জিএসটি দিয়ে লেনদেন হয়নি। সুরাটের পাশাপাশি আহমেদাবাদ, ভাবনগর, জুনাগড়, রাজকোট, সুরেন্দ্রনগরে বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আহমেদাবাদে ঘুড়ি ব্যবসায়ীরাও আন্দোলনের শরিক হয়েছেন। তাদের বক্তব্য ঘুড়ি কুটিরশিল্পের মধ্যে পড়ে। এই ক্ষেত্রকে কেন জিএসটির আওতায় আনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঘুড়ি ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সুরাটে বিক্ষোভের ভিডিও :

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ