Advertisement
Advertisement

Breaking News

৬৩ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত

দিল্লিতে কংগ্রেস ‘হাত’ শূন‌্যই, ৬৩ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত

শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্ব অভাব বোধ করছে কংগ্রেস।

Congress 63 candidate's securities seized in Delhi Assembly election, 2020
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 12, 2020 11:40 am
  • Updated:February 12, 2020 1:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : শীলা দীক্ষিতের নিপুণ নেতৃত্বে দিল্লিতে টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থেকেছে কংগ্রেস। কিন্তু রাজধানীর বুকে এই সময় তীব্র অস্তিত্ব সংকটে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলটি। সারা দেশের মতো রাজধানীতেও তাদের জনপ্রিয়তা ক্রমহ্রাসমান। ২০১৫ সালে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জিততে পারেনি কংগ্রেস। এবার ভোটেও তারা সেই পরাজয়ের ধারা বজায় রাখল।

এবার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ‘হাত’ শূন‌্য। এর জন‌্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা যতটা না তাদের সাংগঠনিক দু্র্বলতাকে দায়ী করছেন, তার চেয়েও বেশি দেখছেন সিদ্ধান্তহীনতাকে। ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৬টিতে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। এর মধ্যে ৬৩টিতেই তাদের জামানত জব্দ হয়েছে। সবমিলিয়ে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৪.৬২ শতাংশ ভোট। মঙ্গলবার রাতেই হারের দায় নিয়ে পদত‌্যাগ করেছেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ চোপড়া।

Advertisement

[আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সন্দেহের বশে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে আত্মঘাতী প্রৌঢ়]

এদিকে আবার কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ স্বীকার করে নিয়েছে, আপের জয়ে তাঁরা খুশি। এরপরই কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, বিজেপিকে হারাতে কার্যত আপের বিরুদ্ধে প্রচারই করেনি তারা। এমনকী প্রদেশ কংগ্রেসেরে  নেতাদের একাংশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও খবর মিলেছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও দায়সারা ভাবে প্রচার করেছিল। হারের আগেই কার্যত হার স্বীকার করে নিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃ্ত্ব। ফলে যা হওয়ার তাই হল। রাজধানীতে কংগ্রেসের ‘হাতে’ রইল পেনসিল!

Advertisement

[আরও পড়ুন : রাম মন্দির সোনার গর্ভগৃহ তৈরির দাবি, অর্থ সাহায্যে ১০ কোটি দিচ্ছে পাটনা মহাবীর ট্রাস্ট]

মঙ্গলবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা, কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আবার দিল্লিতে আমাদের শক্তি কমেছে। এখন আমাদের পদক্ষেপ করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা, কৌশলের অভাব ও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের যোগাযোগ না থাকা, সবকিছুই রয়েছে এই পরাজয়ের পিছনে। এই সিস্টেমের অংশ হিসাবে আমাকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’’ ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস এই নিয়ে পরপর দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারল না। বস্তুত, শীলা দীক্ষিত চলে যাওয়ার পরই দিল্লিতে কংগ্রেস উঠে গেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ