সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ভোটের পর প্রথম উঠেছিল ইভিএম দুর্নীতির অভিযোগ। বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর অভিযোগ ছিল ইভিএম কারচুপি করেই এত বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এরপর যখন যে রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করেছে তখনই উঠেছে ইভিএম দুর্নীতির এই তত্ত্ব। সম্প্রতি উপনির্বাচনে হারের পর কৈরানা এবং পাঞ্জাবের একটি আসনের বিজেপি প্রার্থীর মুখেও শোনা গিয়েছিল ইভিএম কারচুপির অভিযোগ। যদিও, নির্বাচন কমিশন ইভিএম সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
এরই মধ্যে নতুন অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তালিকায় এমন এমন ব্যক্তির নাম পাওয়া যাচ্ছে যাদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। কোথাও আবার মৃত ব্যক্তিদের নাম রয়ে গিয়েছে ভোটার তালিকায়। আবার একই ব্যক্তির নাম রয়েছে একাধিক জায়গায়। কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অভিযোগ, ‘কোনও কোনও ব্যক্তির নাম ২৫-২৬টি আলাদা আলাদা বুথেও রয়েছে। এইভাবে ভুয়ো ভোটারদের কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে চাইছে বিজেপি। সিন্ধিয়ার আরও অভিযোগ, গত দশবছরে মধ্যপ্রদেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ২৬ শতাংশ। অথচ ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৪০ শতাংশ। কীভাবে এটা সম্ভব বল? প্রশ্ন তুলছেন রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতা।
এক্ষেত্রে অবশ্য কংগ্রেস ভোটের আগেই সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগও জানিয়ে এসেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথের অভিযোগ, গোটা রাজ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ ভুয়ো ভোটার আছে। প্রমাণ-সহ তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করছেন কমল নাথ। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটার লিস্টে এই ৬০ লক্ষ নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে বিজেপি। যদিও, কংগ্রেসের এই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিজেপির পাল্টা দাবি, ভোটে হার নিশ্চিত জেনে মিথ্যে অজুহাত খুঁজছে কংগ্রেস। ইভিএম কারচুপির মতো এই অভিযোগেরও কোনও ভিত্তি নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.