Advertisement
Advertisement

Breaking News

Congress

ভাঁড়ে মা ভবানী, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে অর্থাভাবে বিধ্বস্ত কংগ্রেস

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস।

Congress in deep financial crisis, sends out SOS to ruling states | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 21, 2021 6:37 pm
  • Updated:February 21, 2021 7:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিয়রে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। তার আগে আর্থিক সংকটে ধুঁকছে কংগ্রেস। পরিস্থিতি এমনই যে নির্বাচনের খরচ চালাতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে হাত শিবিরকে। দলের তরফে ইতিমধ্যেই যে গুটিকয়েক রাজ্যে ক্ষমতা আছে, সেই রাজ্যগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলি থেকে যত বেশি সম্ভব চাঁদা দলীয় তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস (Congress)।

২০১৪ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমুল বদলে গিয়েছে। একটা সময় গোটা দেশে যে কংগ্রেস অপ্রতিরোধ্য ছিল, তাঁরাই এখন প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সাত বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় নেই। রাজ্যগুলিতেও একের পর এক ক্ষমতা হারিয়েছে দল। স্বাভাবিকভাবেই কমছে দলের তহবিলে জমা পড়া চাঁদার পরিমাণও। তাছাড়া, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্রমাগত কর্পোরেটদের আক্রমণও কংগ্রেসের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়েছে। কর্পোরেট চাঁদার পরিমাণ এই মুহূর্তে তলানিতে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দলের তহবিলে। গত কয়েক বছর ধরেই চরম অর্থকষ্টে ভুগছে এআইসিসি। ২০১৯-এ ক্ষমতা হারানোর পর তা আরও বেড়েছে। যার ফলে বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির নির্বাচনের আগে রীতিমতো চাপে কংগ্রেস।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চার মাসে ১ লক্ষ কোটি, রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের সিংহভাগ মিটিয়ে দিল কেন্দ্র!]

ইতিমধ্যেই দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে দল। এই মুহূর্তে কংগ্রেস ক্ষমতায় আছে দেশের তিনটি রাজ্যে-পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে এখনও কংগ্রেস সরকার থাকলেও একের পর এক বিধায়কের দলত্যাগে এই রাজ্যটিতেও চাপে হাত শিবির। এছাড়া ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস আছে শাসক জোটে। সূত্রের খবর, এই রাজ্যেগুলির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করে ফেলেছেন কেন্দ্রের নেতারা। রাজ্যগুলির সব কংগ্রেসি নেতা-মন্ত্রী এবং শীর্ষনেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশি করে চাঁদার ব্যবস্থা করার। কিন্তু তাতেও কতটা কী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান দলের নেতারা। দলের সব নেতা-আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যতটা সম্ভব দৈনন্দিন খরচ কমিয়ে ফেলার, যাতে ভোটপ্রচারে বেশি খরচ করা যায়। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ